মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকা নিয়ে লাগাতার কারচুপির অভিযোগ তোলার পরে মুখোমুখি আলোচনায় বসার জন্য রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই আমন্ত্রণের জবাবে আজ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলে দিলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ, নরেন্দ্র মোদী যা বলেন, তা-ই করার জন্য।’’ তাঁর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর জমানায় নির্বাচন কমিশন সরকারের ‘হাতের পুতুল’-এ পরিণত হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের ভোটে বিজেপির অপ্রত্যাশিত জয়ের পর থেকেই রাহুল রাজ্যের ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন কমিশন তার জবাবও দিয়েছে। সম্প্রতি লোকসভার বিরোধী দলনেতা এ বিষয়ে নিবন্ধ লেখার পরে নির্বাচন কমিশন ১২ জুন রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, তিনি চাইলে কমিশন এ বিষয়ে সংশয় দূর করতে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে পারে। ভোটের ফল নিয়ে সমস্যা থাকলে নির্বাচন পিটিশন দায়ের করা যেত বলেও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের চিঠিতে।
কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে নির্বাচন কমিশনের তরফে এক জন সচিব পর্যায়ের আধিকারিক চিঠি লিখেছেন। এর আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণের পরেও রাহুল গান্ধী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে ভোটার সংখ্যা ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ঘটনাচক্রে, বুধবার বম্বে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মহারাষ্ট্রে ভোট নিয়ে মামলা খারিজ করে দিয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে মহারাষ্ট্রে ৭৬ লক্ষ ভোট পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। হাই কোর্ট বলেছে, গত লোকসভা নির্বাচনেও এমন দেখা গিয়েছিল। এতে যদি ভোটের ফলাফলে হেরফের না হয়, তা হলে মামলার সারবত্তা নেই।
নির্বাচন কমিশনের সূত্রের বক্তব্য, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে যে সব সংশয় প্রকাশ করেছিলেন, তা বম্বে হাই কোর্টই খারিজ করে দিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)