রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে আইন বদল ও নিজেদের হাতে বাড়তি ক্ষমতার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল নির্বাচন কমিশন। আগামী কাল প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ নিয়ে শুনানি হবে। শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় কমিশনের আর্জি, এমন ব্যবস্থা হোক যাতে, ৫ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে এমন অভিযোগে আদালতে চার্জ গঠন হলেই, অভিযুক্তের ভোটে অংশ নেওয়া বন্ধ হোক। এ ক্ষেত্রে মামলাটি ভোটের আগের ছ’মাসের মধ্যে দায়ের হতে হবে।
কমিশন চাইছে, বিচারাধীন অবস্থাতেও যেন অপরাধীরা ভোটে অংশ নিতে না পারে। কারণ, বর্তমান আইনে, দু’বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে, সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ছ’বছর ভোটে লড়া যায় না। বিচার চলার সময়ে অপরাধীদের নির্বাচনে দাঁড়াতে কোনও বাধা নেই। এমনকী, দু’বছরের বেশি জেল হলেও কোনও অপরাধীর রাজনৈতিক দল গড়া বা তার পদাধিকারী হওয়ায় কোনও আইনি বাধা বর্তমানে নেই।
এই পরিস্থিতির বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক দলকে স্বীকৃতি দেওয়া বা তা বাতিল করার অধিকার দেওয়া হোক নির্বাচন কমিশনকে। কারণ, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে দলীয় গণতন্ত্র ও দলের স্বীকৃতি বাতিলের ক্ষেত্রে কমিশনের অধিকারের কথা স্পষ্ট করে বলা নেই। সুপ্রিম কোর্ট গত ৮ জানুয়ারি অশ্বিনীর আবেদন সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বক্তব্য জানাতে বলে। সেই সূত্রেই কমিশন হলফনামা দিয়ে জানাল, ১৯৯৮ সাল থেকেই তারা রাজনীতি থেকে অপরাধ ও অপরাধীদের দূরে রাখা নিয়ে সরব রয়েছে। বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে। এখন দরকার আইনের বদল।