সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহেই মধ্যপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার দলীয় সভাপতি বেছে নিতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দৌড়ে ছিল ত্রিপুরাও। কিন্তু সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী ঘিরে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে আপাতত সেখানে থমকে নির্বাচন। তবে আগামী মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও কালক্ষেপ করার পক্ষপাতী নয় দল।
তেলঙ্গানা ও মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সভাপতি নির্বাচন সাঙ্গ হলেই কেন্দ্রীয় স্তরে দলীয় সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্রের মতে, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য গোড়াতেই একটি কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি গড়া হবে। যার কাজ হবে সামগ্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখা। দলের সংবিধানে সভাপতি বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থা থাকলেও, সাধারণত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এক জন প্রার্থীকে সর্বসম্মত ভাবে বেছে নেওয়া হয়। তাই ওই কমিটির কাজ হবে প্রথামাফিক ওই সর্বসম্মত প্রার্থীর নাম ঘোষণা ও পরবর্তী ধাপে মনোনয়ন থেকে নির্বাচন, সব কিছু নজরে রাখা। বিজেপি সূত্রের মতে, আগামী ১ জুলাই রাজ্য সভাপতি বেছে নিতে মধ্যপ্রদেশ যাচ্ছেন ওই রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সূত্রের মতে, ১ জুলাই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, বর্তমান সভাপতি বি ডি শর্মা, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিতানন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করবেন ধর্মেন্দ্র। তার পরে ২ জুলাই সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারেন তিনি।
সব ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার সভাপতি বেছে নিতে চলেছে তেলঙ্গানাও। সূত্রের মতে, আগামিকাল ওই রাজ্যে সভাপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সভাপতি পদে নির্বাচনে নাম দেওয়া ও প্রত্যাহারের সুযোগ থাকবে। মঙ্গলবার চূড়ান্ত নাম ঘোষণা হবে। ত্রিপুরাতেও আগামিকালই রাজ্য সভাপতি বেছে নিতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা ওই রাজ্যে আরএসএস ঘনিষ্ঠ ভগবান দাসকে সভাপতি পদে বসাতে চাইলেও রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব তাতে আপত্তি জানান। ফলে ওই রাজ্যের সভাপতি নির্বাচন আটকে গিয়েছে।
গত কাল থেকে নতুন করে বিষয়টিতে গতি এসেছে। যাতে এটা স্পষ্ট যে, বাদল অধিবেশন শুরুর আগেই সম্ভবত নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার পক্ষপাতী দল। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘অন্তত ছ’টি রাজ্যে আগামী সাত-দশ দিনে নির্বাচন সেরে ফেলার পক্ষে আমরা। কারণ দলীয় সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রশাসিত ও রাজ্য মিলিয়ে ১৯ জন সভাপতির নির্বাচন হলেই কেন্দ্রীয় সভাপতি বাছা সম্ভব হবে। বর্তমানে ১৪টি রাজ্যের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে রয়েছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)