দাবিমতো টাকা দিতে না পারায় এক যুবককে পিটিয়ে মরার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। মৃতের নাম উদিত। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিলেন। সম্প্রতি একটি সংস্থায় চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার বাড়ি ফিরেছিলেন উদিত। তার পর কলেজে গিয়ে ডিগ্রির শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। বন্ধুরা আবদার করায় বৃহস্পতিবার পার্টির আয়োজন করেছিলেন ওই যুবক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পার্টির আনন্দে যখন সবাই মেতেছিলেন, সেই সময় সেখানে সেখানে পুলিশের দুই কনস্টেবল সেখানে আসেন। অভিযোগ, তাঁরা ১০ হাজার দাবি করেন। তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত। টাকা দিতে অস্বীকার করায় পুলিশকর্মীরা লাঠি নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উদিত প্রতিবাদ করায় তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তার পর লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন দুই পুলিশকর্মী। তার পর সেখান থেকে চলে যান। উদিতে বন্ধুরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এমসে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময় মৃত্যু হয় উদিতের।
উদিতের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দুই পুলিশকর্মীর গ্রেফতারের দাবি জোরালো হতে থাকে। উদিতের পরিবার সিবাআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানান তিনি। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জিতু পটওয়ারি বলেন, ‘‘দুই পুলিশকর্মী এক যুবককে খুন করল, তার পরেও প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকি যুবকের পরিবারের সঙ্গে প্রশাসনের তরফে কেউ দেখা করতে আসেননি। বিজেপি সরকারের শাসনকালে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। ভোপালের ঘটনা আবার তা প্রমাণ করে দিল।’’ দুই পুলিশকর্মীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।