পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর আত্মঘাতী হলেন হরিয়ানার গুরুগ্রামের এক সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই একই সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। রবিবার ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন অজয় কুমার এবং সুইটি শর্মা। অজয় উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসিন্দা। আর সুইটি পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের তরুণী। একই সংস্থায় কাজ করার সুবাদে তাঁদের দু’জনের আলাপ। তার পর সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। বছর তিনেক আগে দু’জনে বিয়ে করেন। কর্মসূত্রে গুরুগ্রামেই থাকতেন অজয় এবং সুইটি। সেখানে তাঁরা একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকেল সওয়া ৩টে নাগাদ তাদের কাছে একটি ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, তাঁর বন্ধু আত্মহত্যা করতে চলেছে। তার পর ঠিকানা-সহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে পুলিশের সাহায্য চান তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে অজয় এবং সুইটির দেহ উদ্ধার করে। সুইটির দেহ মেঝেতে পড় ছিল। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল তাঁর। আর সিলিং ফ্যানে অজয়ের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক।
অজয়ের বন্ধু পুলিশকে জানান, তাঁকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন অজয়। তখন তিনি জানান, আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এই বার্তা পাওয়ার পরই অজয়ের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন এবং পুলিশকে ফোন করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। তবে ঠিক কী নিয়ে অশান্তি হয়েছিল, দু’জনের পরিবার এবং পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। সুইটির পরিবার অজয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে।