সহপাঠিনীর বিরুদ্ধে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হলেন এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। হিমাচল প্রদেশের সুন্দরনগরের জওহরলাল নেহেরু গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র ছিলেন তিনি। সেখানকার হস্টেলেই থাকতেন। শনিবার সকালে হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ছাত্রের পকেট থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি ‘সুইসাইড নোট’। সেখানে সহপাঠিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি লেখা আছে। ‘সুইসাইড নোট’-এর ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তরুণীকে।
মৃত ছাত্রের বয়স ২০ বছর। সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রশিক্ষণরত ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে চিঠিতে লিখে গিয়েছেন, এক সহপাঠিনী তাঁকে নিয়মিত হেনস্থা করেন। মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিক ভাবেও হেনস্থার শিকার তিনি। ছাত্রের মা পৃথক ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, অভিযুক্ত ছাত্রী তাঁর পুত্রের সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। সঙ্গমে বাধ্য করা হয়েছিল তাঁর পুত্রকে। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফোন করে মাকে এ কথা জানিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া।
আরও পড়ুন:
সুন্দরনগরের ডিএসপি ভারত ভূষণ জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। হস্টেলের ওই ঘর থেকে ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কলেজের অন্য পড়ুয়াদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলছেন।
অভিযোগপত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ছাত্রের মা। জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে তাঁর পুত্রের বসন্ত (চিকেনপক্স) হয়েছিল। সাহায্য করার বদলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে হস্টেল থেকে বার করে দিয়েছিলেন। অন্য একটি সরকারি বাংলোয় ছাত্রের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। এই সময়ে কর্তৃপক্ষ অসহযোগিতা করেছেন, দাবি ছাত্রের মায়ের। তাঁর অভিযোগগুলিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।