প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিল ভারত। আবদুল বাসিত রবিবার নয়াদিল্লিতে ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা’ সংক্রান্ত যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে ভারতের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বাসিতের মন্তব্য নিয়ে কিছু বলল না নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনে সে দেশের সরকারের পাঠানো একটি চিঠির প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ করলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। বললেন, পাকিস্তানের ট্রেডমার্ক লাকানো রফতানি হল সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র ইত্যাদি। ভারত সে সব অনেক নিয়েছে। আর দরকার নেই।
যে চিঠির প্রসঙ্গ টেনে বিকাশ স্বরূপের এই কটাক্ষ, কী রয়েছে সেই চিঠিতে? বিকাশ স্বরূপ জানিয়েছেন, ১২ অগস্ট পাক বিদেশ মন্ত্রক একটি চিঠি বা লিখিত প্রস্তাব ইসলামাবাদের ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠায়। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, জম্মু-কাশ্মীরে ত্রাণ পাঠাতে চায় পাকিস্তান। বিকাশ স্বরূপ রবিবার বলেন, ওই প্রস্তাবের কোনও অর্থই হয় না। বিকাশ স্বরূপ আরও বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, অনুপ্রবেশ, অস্ত্র, মাদক, এবং জাল টাকা— নিজেদের ট্রেডমার্ক লাগানো এই জিনিসগুলো পাকিস্তান এত পরিমাণে রফতানি করেছে যে এই অঞ্চলে ভারত সহ অন্যান্য দেশ সে সব যথেষ্ট পরিমাণে নিয়েছে।’’ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের তীব্র কটাক্ষ, অনেক ধন্যবাদ, পাকিস্তানের কাছ থেকে আর কিছুই আমাদের দরকার নেই। তার পর কঠোর বার্তা দিয়ে বিকাশ স্বরূপ বুঝিয়ে দেন, পাকিস্তানের ওই চিঠিকে ভারত মোটেই ভাল চোখে দেখছে না। তিনি বলেন, ‘‘পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে আসা এই অতি উৎসাহী প্রস্তাবকে আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’’
১২ অগস্ট পাক বিদেশ মন্ত্রক যে চিঠি দিয়েছিল, তা নিয়ে ১৪ অগস্ট ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক মন্তব্য করায়, কোনও কোনও শিবিরে কিছুটা বিস্ময় রয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহলের মতে, ভেবেচিন্তেই ওই বিষয়টি নিয়ে এ দিন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। ভারতের নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার আবদুল বাসিত ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা’ সংক্রান্ত যে মন্তব্য রবিবার নয়াদিল্লিতে করেছেন, তার জবাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতকে দিতেই হত। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল। কিন্তু বাসিতের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নয়। কারণ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বোঝাতে চাইল, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যা বলছে, তাকে নয়াদিল্লি বিন্দুমাত্র গুরুত্বও দিচ্ছে না। কারণ কাশ্মীরের সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে পাকিস্তানের মন্তব্যে কিছুই যায় আসে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy