পুঞ্চে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে জঙ্গিহানায় পাঁচ জওয়ানের নিহত হওয়া এবং তার পর সেনা হেফাজতে তিন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার এক সপ্তাহ পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেখানে নাশকতা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উপত্যকাবাসীর আস্থা অর্জনের উপরেও গুরুত্ব দিলেন তিনি।
রাজনাথ বুধবার বলেন, ‘‘শুধু শত্রুদের হাত থেকে জাতিকে বাঁচানো নয়, সেনার কাঁধে মানুষের মন জয় করার দায়িত্বও রয়েছে।’’ এর পরেই সেনা আধিকারিকদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নিশ্চিত করুন ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’’ কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে সখ্য তৈরির পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপত্যকা থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করারও আহ্বান জানিয়েছেন বুধবার।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ডিসম্বর পুঞ্চের ডেরা কি গলি এবং বাফলিয়াজ় এলাকার মধ্যে জঙ্গি-দমন অভিযানের সময়ে বাহিনীর দু’টি গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তাতে পাঁচ জন সেনা জওয়ান নিহত হন। এর পরে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে সেনা, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। তখনই ওই এলাকার টোপা মাস্টানডারা গ্রাম থেকে সেনা বেশ কয়েক জনকে আটক করে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেনা হেফাজতে মারধরের ফলে ধৃতদের মধ্যে সাফির হুসেন (৩৭), বছর মহম্মদ শওকত (২৬) এবং শাবির আহমদের (৩২) মৃত্যু হয়।
তার পর থেকেই পুঞ্চ, রাজৌরি-সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে জনবিক্ষোভ। অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৪৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ন টোপা মাস্টানডারার মোট আট জন বাসিন্দাকে আটক করেছিল। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে শনিবার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি, সেনার তরফে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার জানা গিয়েছে, পুঞ্চ এবং রাজৌরি এলাকার এক ব্রিগেডিয়ার-সহ তিন অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘নিরপেক্ষ’ তদন্তের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে সেনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy