বিহারে ব্যবসায়ী-পুত্রের অপহরণে জড়িত অভিযোগে আরজেডির প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ নরেশ যাদবের ছেলেকে সন্তোষকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় আরও ২ জনকে পাকড়াও করেছে এসটিএফ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিহারের কাটিহার থেকে অপহৃত ছ’বছরের শিশুটি নেপালের বিরাটনগর থেকে উদ্ধার হয়। গত বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে কাটিহারের ব্যবসায়ী ভানু অগ্রবালের মেয়ে স্পর্শ ওরফে ছবিকে অপহরণ করা হয়। পরে ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করে ২৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ চায় অপহরণকারীরা। ৪ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। গত রাতে নেপাল পুলিশের সাহায্য নিয়ে অপহৃত উদ্ধার হয়।
রাজ্য পুলিশের ডিজি প্রমোদকুমার ঠাকুর জানান, মেয়েটি সুস্থ রয়েছে। এ দিন পটনায় সাংবাদিক বৈঠকে এডিজি (সদর) সুনীল কুমার জানান, ঘটনায় চন্দন ঠাকুরের দল জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে পুরোনো পেট্রোল পাম্পের সামনে নামে স্পর্শ। সেখানে ভানুবাবুর প্রাক্তন কর্মচারী মিথুন ছিল। মিথুনই স্পর্শকে উঠিয়ে নিয়ে যায় বলে পুলিশের দাবি। পর দিন ভানুবাবুকে ফোন করে প্রাক্তন সাংসদ-পুত্র সন্তোষ। মুক্তিপণ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়। পুলিশ মোবাইলের সূত্র ধরে সন্তোষের সঙ্গী সুনীলকে গত কাল গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে সন্তোষকেও গ্রেফতার করা হয়। গত রাতেই অরারিয়ার ফরবিসগঞ্জ লাগোয়া নেপালের বিরাটনগরে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে অভিযান চালায় এসটিএফ। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় স্পর্শকে।
জেরায় সন্তোষ জানিয়েছে, চন্দন ঠাকুরের কথাতেই ভানুকে ফোন করে সে। চন্দনের হয়েই ব্যবসায়ীর মেয়েকে মিথুন তুলে আনে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ফরবিসগঞ্জ থেকে বিরাটনগরে স্পর্শকে রেখে আসে সে। তবে চন্দন বা মিথুন গ্রেফতার না হলে ঘটনার বিষয়ে জানা যাবে না বলে মনে করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy