খেয়েদেয়ে ভুঁড়ি যত সহজে হবে, তা কমানোর পথটা ততটাই কষ্টসাধ্য। শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটের মেদ ঝরানো বেশি কঠিন কাজ। জিম করে সারা শরীরের মেদ ঝরিয়ে ফেললেও পেটের মেদ কমাতে নাজেহাল হয়ে যেতে হয়। অনেকেই বলবেন, ডায়েট করলেই তা সম্ভব। তবে কম খেয়ে বা একবেলা উপোস দিয়ে ওজন হয়তো কমবে, তবে ভুঁড়ি সহজে কমবে না। উল্টে শরীরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তার চেয়ে পছন্দের খাবার খেয়েও ভুঁড়ি কমাতে পারেন। সে জন্য রোজ সকালে তিন আসন অভ্যাস করতে হবে। নিয়মিত অভ্যাস করলে জিমে না গিয়েও নির্মেদ চেহারা হবে, শরীরের গড়নও হবে সুন্দর।
কোন কোন আসনে ভুঁড়ি কমবে?
ধনুরাসন
ধনুরাসন। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতখানি সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।
কুম্ভকাসন
কুম্ভকাসন। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘প্ল্যাঙ্ক পোজ়’। এই ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে ম্যাটে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর কনুইয়ে এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে সমান্তরাল ভাবে গোটা দেহ মাটি থেকে তুলে ধরুন। এই অবস্থায় ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন।
পার্শ্বকোণাসন
পার্শ্বকোণাসন। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ম্যাটের উপর দুই পায়ের মধ্যে ব্যবধান রেখে দাঁড়ান। ডান পা ৯০ ডিগ্রি কোণে মুড়ুন ও বা পাঁ আরও কিছু প্রসারিত করুন। ডান হাতটি ডান পায়ের হাঁটুর উপর রাখুন। এর পর বাঁ হাতটি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। পা বদলে আবারও অভ্যাস করুন। প্রতি দিন তিন সেটে ৩০ সেকেন্ড করে অভ্যাস করলে উপকার পাবেন।