ভারতের মানচিত্র দেখালে তার আঙুল ঘোরাফেরা করেছে ঝাড়খণ্ডের সীমানার উপর। খাতায় হিন্দি অক্ষরের ধাঁচে কোনও ভাষায় লিখে সে বোঝাতে চেয়েছে তার নাম-পরিচয়। সে সব লেখার আদল আদিবাসী ভাষার মতো।
পাকিস্তানে আশ্রয় পাওয়া মূক-বধির কিশোরী গুড্ডি। বজরঙ্গি ভাইজানের সাফল্যের পরে বাস্তবের এই মুন্নিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই চলছে। গুড্ডির নাম এ দেশে বদলেছে গীতায়। কিন্তু ভারতে ঠিক কোথায় তার বাড়ি, কে তার বাবা-মা জানা যায়নি এখনও। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনজাতি ও ক্ষেত্রীয় ভাষা বিভাগ (ট্রাইবাল অ্যান্ড রিজিওনাল ল্যাঙ্গোয়েজ ডিপার্টমেন্ট) চেষ্টা চালাচ্ছে লেখাটার মর্ম উদ্ধারের।
কিছু ইংরেজি আর হিন্দি শব্দও লিখেছে মেয়েটি— ইন্ডিয়া, বৈষ্ণোদেবী, গীতা, গুড্ডি, ফতিমা...। কিন্তু কয়েকটি বাক্য বোঝা যাচ্ছে না। অথচ কী ভাবে সীমান্ত টপকে সে ও দেশে গেল, তার নাম-ঠিকানাই বা কী— সে সব জানতে ভরসা গোটা গোটা হরফে গীতার নিজের লেখাই। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হরি ওঁরাও সেই লেখার নমুনা নিয়ে ঘুরছেন ছাত্রছাত্রীদের কাছে। হরিবাবুর মোবাইলে ‘সেভ’ করা সে সব লেখার মানে বোঝার চেষ্টা চলছে।
হাল ছাড়েননি হরিবাবুরা। বিভাগীয় পড়ুয়ারাও বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন। সুভাষ সাহু বা সরস্বতী গারগাই বলছেন, ‘‘লেখার মানে বুঝতেই হবে আমাদের।’’ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস আশ্বাস দিয়েছেন, গীতাকে বাড়ি ফেরাতে সরকার সব সাহায্য করবে।