গোটা দেশে যখন সংক্রমণের গ্রাফ নামতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়েই কেরলের সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশের মোট সংক্রমণের অর্ধেকই এই রাজ্য থেকে। কেন সংক্রমণ বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্র সরকার সম্প্রতি একটি বিশেষজ্ঞদল পাঠিয়েছিল সেখানে।
সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে জেলাগুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নীচে, ৫-১০ শতাংশ, ১০-১৫ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশের উপরে— এই চার ভাগে ভাগ করা হয়েছিল জেলাগুলিকে। দেখা গিয়েছে, যেখানে আরটিপিসিআর পরীক্ষা বেশি পরিমাণে করানো উচিত, সেটা না হয়ে ৮০ শতাংশই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছে। শুধু তাই নয়, শুধুমাত্র যাঁদের উপসর্গ ধরা পড়ছে, তাঁরাই পরীক্ষা করাচ্ছেন।
কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক পদ্ধতি মানা হচ্ছে বলেও বিশেষজ্ঞ দলটি জানিয়েছে। তাই এই পদ্ধতি ভাল করে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মালাপ্পুরমে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। ১৭ শতাংশের উপরে। শুধু তাই নয়, কনট্যাক্ট ট্রেসিং যেখানে ১:১৫ অথবা ১:২০ অনুপাতে হওয়া দরকার সেখানে মালাপ্পুরমে এই পরীক্ষা হয়েছে ১:১.১৫। এই মুহূর্তে রাজ্যে সংক্রমণের হার ১১.৮৭ শতাংশ।