এস জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।
সীমান্তের পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে ভারত-চিন সম্পর্কে স্থায়ী শান্তি আসবে না। বেঙ্গালুরুতে এক আলোচনাসভায় এ কথা জানিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আমরা আমাদের অবস্থানেই রয়েছি। চিন যদি সীমান্তে শান্তি বিঘ্নিত করে তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে। আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হতেও পারে না।’’
দু’বছর আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। প্যাংগং হ্রদের উত্তর প্রান্ত, দেপসাং উপত্যাকা-সহ কয়েকটি এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরখার (এলএসি) পেরিয়ে আসা চিনা ফৌজ এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে দফায় দফায় চলছে দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকও। টানাপড়েনের এই আবহে জয়শঙ্করের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের প্রকল্প ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ (ওবর) নির্মাণের প্রসঙ্গও এসেছে বিদেশমন্ত্রীর বক্তৃতায়। তিনি জানান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ কর্মসূচির অন্তর্গত ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর’ (সিপিইসি) নির্মাণের প্রতিবাদ জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি বেজিং। এমন পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্কের পরিপন্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy