হস্টেলের ঘরে ঘুমিয়েছিল ছাত্রেরা। অভিযোগ, সে সময় ‘কৌতুক করে’ তাদের চোখের পাতায় কড়া আঠা ঢেলে দেয় সহপাঠীরা। ঘুম ভাঙতেই বিপত্তি। চোখ খুলতে পারেনি আট ছাত্র। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওড়িশার কন্ধমল জেলার ঘটনা। এই ঘটনায় আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে গাফিলতির অভিযোগে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলাপ্রশাসন।
কন্ধমলের সাতাগুড়ার সেবাশ্রম স্কুলের আট পড়ুয়ার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। রাতে নিজেদের ঘরে শুয়েছিল তারা। অভিযোগ, সে সময়ে তাদের চোখে আঠা ঢেলে দেয় কয়েক জন পড়ুয়া। ঘুম ভেঙে চিৎকার করতে থাকে ওই শিশুরা। চোখের পাতা খুলতে পারে না। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ। ওই বাচ্চাদের কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ফুলবনির জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ওই ছাত্রদের চিকিৎসার কিছু ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেখানে দেখা গিয়েছে, ওই ছাত্রেরা চিৎকার করে কাঁদছে। চিকিৎসকেরা তাদের চোখের পাতা খোলানোর চেষ্টা করছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আঠার কারণে ওই বাচ্চাদের চোখের ক্ষতি হয়েছে। তবে সঠিক সময়ে তাদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি ঠিক আছে। এক ছাত্রকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি সাত জন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন সাহুকে সাসপেন্ড করেছে কন্ধমল জেলাপ্রশাসন। জেলা শিশু কল্যাণ আধিকারিক হাসপাতালে গিয়ে শিশুদের দেখে এসেছেন। দোষীদের শাস্তির কথাও জানিয়েছেন।