Advertisement
E-Paper

ক্ষতিপূরণের ফর্মে ‘ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য’ জেনে নিচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া! আপত্তি তুলল বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার

এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা অভিযোগগুলি ‘অবৈধ এবং ভিত্তিহীন’। বিমান সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যে ৪৭টি পরিবারকে অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আরও ৫৫টি পরিবারের নথি এখনও প্রক্রিয়াধীন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৩:২৪
বিমান দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য।

বিমান দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য। — ফাইল চিত্র।

অহমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নাম করে আদতে সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে! এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এ বার এমনটাই অভিযোগ আনলেন নিহতদের স্বজনেরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, কারও কাছে কোনও সংবেদনশীল নথি চাওয়া হয়নি। এ ধরনের ঘটনায় আর্থিক সাহায্যের আগে কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। সে কারণেই বাধ্য হয়ে নথি চাইতে হয়েছে তাঁদের থেকে।

এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা অভিযোগগুলি ‘অবৈধ এবং ভিত্তিহীন’। বিমান সংস্থার দাবি, ইতিমধ্যে ৪৭টি পরিবারকে অন্তর্বর্তীকালীন অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আরও ৫৫টি পরিবারের নথি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আগে রক্তের সম্পর্ক যাচাই করতে নিহতদের পরিবারকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নসমেত একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়েছিল। বিবৃতি দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘‘এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। তবে আমরা পরিবারগুলিকে প্রয়োজনীয় সময় দিয়েছি। আমরা যতটা সম্ভব সহায়তা করতে চাই।’’

বিমান সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অযাচিত ভাবে কারও বাড়িতে যাওয়া হয়নি। বরং আগেই জানানো হয়েছিল, এই ফর্মগুলি ব্যক্তিগত ভাবে বা ইমেলের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে। শুধু তা-ই নয়, নিহতদের শেষকৃত্য, স্বজনদের থাকার ব্যবস্থা করা এবং অন্যান্য নানা কাজে সাহায্যের জন্য এক দল কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে। টাটা সংস্থার তরফে নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা দেওয়ার জন্য ৫০০ কোটি টাকার একটি ট্রাস্টও গঠন করা হচ্ছে।

গত ১২ জুন দুপুরে ২৪২ জন যাত্রী-সহ ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমান। একজন ছাড়া বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও মৃত্যু হয় স্থানীয় ১৯ জনের। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালীন বিমান সংস্থা তাদের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল। ৪০টিরও বেশি শোকাহত পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী ব্রিটেনের আইন সংস্থা ‘স্টুয়ার্ট্‌স’-ও অভিযোগ করে, অগ্রিম ক্ষতিপূরণ হাতে পাওয়ার আগেই পরিবারগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ আইনি নথিপত্র এবং আর্থিক অবস্থা সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য জমা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। স্টুয়ার্টসের এক কর্মী পিটার নিনান বলেন, ‘‘আমরা ফর্মটি দেখেছি। এতে বেশ কিছু আইনি পরিভাষা রয়েছে, অথচ সেগুলির ব্যাখ্যা ফর্মে দেওয়া নেই। ফর্মে যে তথ্য চাওয়া হচ্ছে, সেগুলি আইনগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা পরিবারগুলিকে বলা হচ্ছে না। এই সব তথ্য এতই সংবেদনশীল যে, পরে সেগুলি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা হতবাক এবং ভীত। ওদের লজ্জিত হওয়া উচিত!’’

Gujarat Plane Crash Ahmedabad Air India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy