Advertisement
E-Paper

সেঙ্গারের কঠোর সাজা চায় পীড়িতার পরিবার

উন্নাও ধর্ষণ মামলায় সোমবারই দুপুরে বাহুবলী বিধায়ক কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

‘‘কুলদীপ সেঙ্গারের লোকেরা কেন আমাদের বাঁচতে দিচ্ছে না?’’

প্রশ্ন শুনে চমকে ওঠার অবস্থা। উন্নাও ধর্ষণ মামলায় সোমবারই দুপুরে বাহুবলী বিধায়ক কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লির আদালত। তার প্রতিক্রিয়া জানার জন্যই ফোন করা হয়েছিল নির্যাতিতা তরুণীর দিদিকে। কিন্তু তাঁর গলায় সন্তুষ্টির বদলে উদ্বেগই বেশি।

কেন? দিদির কথায়, শুধু দোষী সাব্যস্ত হলেই হল না। কী শাস্তি হয়, তার উপরেই সব কিছু নির্ভর করছে। তাঁর অভিযোগ, কুলদীপ জেলে থেকেও একের পর এক বিপদে ফেলেছে ওঁদের। ‘‘ট্রাকের ধাক্কায় মেরেই ফেলতে চেয়েছিল সবাইকে। সেঙ্গারের ফাঁসি হোক। আমরা তখন সন্তুষ্ট হব। না হলে ওর লোকজন কিছুতেই আমাদের বাঁচতে দেবে না।’’ যদিও আইন মোতাবেক সর্বোচ্চ সাজা হলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই হতে পারে সেঙ্গারের।

আরও পড়ুন: আবার উত্তপ্ত তিনসুকিয়া, চলছে আসুর জেল ভরো

গাড়ির সঙ্গে ট্রাকের সেই মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার পরই উন্নাও মামলা সরে এসেছে দিল্লিতে। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকেও আদালতের নির্দেশে নিরাপত্তার কারণে নিয়ে আসা হয়েছে দিল্লিতে। দীর্ঘ চিকিৎসার পরে নির্যাতিতা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বটে। তবে চিকিৎসা এখনও চলছে। বিকেল তিনটেয় দিল্লির আদালত কুলদীপকে দোষী সাব্যস্ত করার পরে দিদি বোনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তার পরে ফোনে আনন্দবাজারকে তিনি বলেন, ‘‘ওকে খবরটা জানিয়েছি। মুখে অনেক দিন পর হাসি ফুটেছে। কিন্তু ওর মতো আমরাও চাই, কুলদীপের কঠোরতম শাস্তি হোক।’’

এ দিনের রায় নিয়ে কিছু প্রশ্নও রয়েছে পীড়িত পরিবারটির। কুলদীপ দোষী সাব্যস্ত হলেও আদালত আর এক অভিযুক্ত শশী সিংহকে প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দিয়েছে। দিদির বক্তব্য, ‘‘শশীই তো আমার বোনকে কাজের লোভ দেখিয়ে সেঙ্গারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল।

বোনের উপর অত্যাচারের সময় শশী ঘরে বাইরে পাহারা দিয়েছিল। তা হলে ওকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল?’’ দিদি চিন্তিত তাঁর কাকার ভবিষ্যত নিয়েও। ‘‘আমাদের কাকাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে সেঙ্গার। বারবার আমার কাকার জামিনের আর্জির শুনানি পিছিয়ে যায়। কেন জানেন? সেঙ্গারের লোকেরা হয় উকিলদের টাকা দিয়ে কিনে নেয়। না হলে সবাইকে বেদম ভয় দেখায়।’’

নির্যাতিতার গাড়িতে যেদিন ট্রাক ধাক্কা মারে, সেদিন গাড়িতে ছিলেন কাকার স্ত্রী এবং শ্যালিকা। মারা গিয়েছেন দু’জনেই। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওঁদের আইনজীবী মহেন্দ্র সিংহ। নির্যাতিতার দিদির প্রশ্ন, ‘‘কাকা আমাদের সাহায্য করতে এসেই তো বিপদে পড়েছেন। কুলদীপের লোকেরা তো কাকিমাকেও মেরে ফেলল। কাকার পরিবারটাও বিধ্বস্ত। কাকার ছেলে-মেয়েরা কী দোষ করেছে বলুন তো?’’

Kuldeep Singh Sengar Unnao Rape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy