কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক পিছোল কমিটির। —ফাইল চিত্র।
ট্র্যাক্টর মিছিল ঘিরে হিংসার জেরে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক পিছিয়ে গেল। বুধবার দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসে দিনভর যে তাণ্ডব চলেছে রাজধানী জুড়ে, তার রেশ এখনও কাটেনি। বহু জায়গায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি যান চলাচল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তাই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি দু’পক্ষ আলোচনায় বসতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইনে কৃষকরা আদৌ লাভবান হবেন, না কৃষিক্ষেত্রে কর্পোরেটদের রমরমা বাড়বে তা পর্যালোচনা করে দেখতে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নির্দেশে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলার জন্য ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (বিকেইউ)-এর প্রাক্তন সভাপতি ভূপিন্দর সিংহ মান, কমিশন অব এগ্রিকালচারাল কস্টস অ্যান্ড প্রাইসেস-এর চেয়ারম্যান অশোক গুলাটি, এগ্রিকালচার ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর প্রমোদকুমার জোশী এবং শেতকরি সংগঠন মহারাষ্ট্রের সদস্য অনিল ঘনওয়াতকে ওই কমিটিতে নিযুক্ত করে শীর্ষ আদালত।
কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গঠিত এই কমিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কমিটির ৪ সদস্যের প্রত্যেকেই অতীতে কৃষি আইনের সমর্থনে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন। ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন মোদী সরকারের। তাই তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের হয়ে গলা চড়াবেন বলে অভিযোগ ওঠে। কৃষকদের সুবিধা-অসুবিধা বোঝার মতো কাউকে কেন কমিটিতে রাখা হল না, তা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। তার জেরে কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ভূপিন্দর।
এর পর গত ২১ জানুয়ারি আন্দোলনকারী কৃষক এবং সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রথম বার বৈঠক করে ওই কমিটি। এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটির অন্তর্গত বাজার সংগঠনগুলির সঙ্গেও আলোচনার কথা রয়েছে ওই কমিটির। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনার পর আপাতত সে সব স্থগিত রাখা হয়েছে। মুখোমুখি না বসে ভিডিয়ো কনফারেন্সে আলোচনা হওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়েও কথা চলছে। মামলার সব পক্ষ যাতে নিজেদের মতামত জানাতে পারেন, তার জন্য একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করা হচ্ছে। তাতে দিল্লি আসতে না পারলেও ওই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত জানানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy