Advertisement
E-Paper

বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থার প্রশংসা! ইডিকে ‘মডেল এজেন্সি’ বলে উল্লেখ আন্তর্জাতিক নজরদার সংস্থার

সম্প্রতি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার নির্দেশিকা সংক্রান্ত এফএটিএফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে অপরাধ এবং আর্থিক নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত সম্পত্তি কার্যকর ভাবে বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতের এই পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৮
FATF praises India\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s asset recovery regime, calls ED model agency

আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির প্রশংসা করল এফএটিএফ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) নানা সময়ে বহু অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এ বার সেই প্রক্রিয়ার প্রশংসা করল আর্থিক নয়ছয়, তথা সন্ত্রাসে আর্থিক মদত বিষয়ক আন্তর্জাতিক নজরদার সংস্থা ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। শুধু তা-ই নয়, ইডি-কে একটি ‘মডেল সংস্থা’ হিসাবেও উল্লেখ করেছে তারা।

সম্প্রতি সম্পত্তি পুনরুদ্ধার নির্দেশিকা সংক্রান্ত এফএটিএফ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে অপরাধ এবং আর্থিক নয়ছয়ের সঙ্গে যুক্ত সম্পত্তি কার্যকর ভাবে বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া নিয়ে ভারতের পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে ভারতের যে আইনি বিধান রয়েছে, তারও প্রশংসা করেছে এফএটিএফ। এ ছাড়াও, তারা জানিয়েছে, ইডির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নীল নকশা অনেক বেশি গোছানো, প্রযুক্তিগত সমৃদ্ধ।

এফএটিএফ ভারতের আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের প্রশংসা করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এই সংক্রান্ত বিধান কোনও অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই অপরাধে যুক্ত অর্থ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ‘সবুজ সঙ্কেত’ দেয়। ভারতের বিভিন্ন কার্যকর তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের মধ্যে যে সমন্বয় করে কাজ করে, তা যথেষ্ট প্রশংনীয়। এই সমন্বয়ের কথা বলতে গিয়ে এফএটিএফ সিবিআই, ইডি এবং ভারতের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (এফআইউ-আইএনডি) উল্লেখ করেছে। আর্থিক অপরাধ শুধু খুঁজে বার করা নয়, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এবং বিচারব্যবস্থাকে একত্রীভূত করাকে ‘মডেল’ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কী ভাবে ধারাবাহিক নীতি, আইনি ক্ষমতায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে সমন্বয় করে অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যায়, তার বাস্তবিক রূপ তুলে ধরে ইডি! ভারতের সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকরী।

শেষে এফএটিএফ দাবি করেছে, অন্য সদস্যগুলির উচিত এ ক্ষেত্রে ভারতকে অনুসরণ করা। ভারতের এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করেছে এফএটিএফ। সেখানে বিনিয়োগ জালিয়াতি মামলা, কর্পোরেট বন্ড কেলেঙ্কারি, সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির মতো উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্বের কোনও দেশের আর্থিক মদতে সন্ত্রাস বা জঙ্গি কার্যকলাপ হচ্ছে কি না, তার উপর কড়া নজর রাখে এফএটিএফ। তাদের রিপোর্ট সব সময়ই গুরুত্ব পায়। কোনও দেশকে আর্থিক সাহায্য বা ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে এফএটিএফ-এর মতামত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে দীর্ঘ দিন ধরে ধূসর তালিকাভুক্ত করে রেখেছিল এফএটিএফ। ২০২২ সালে ওই তালিকা থেকে মুক্ত করা হয় পাকিস্তানকে। তার পরেও এই সংক্রান্ত নজরদারি থেকে তারা মুক্ত নয় বলে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে এফএটিএফ। চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে তারা প্রথম বার সন্ত্রাসে রাষ্ট্রীয় মদত নিয়ে মুখ খুলেছিল। তাদের মতে, এই ধরনের মদত আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক। ওই রিপোর্টে পাক মদতপুষ্ট লশকর-এ-ত্যায়বা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের কাজকর্মের ধরন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এ বার সেই আন্তর্জাতিক নজরদার সংস্থা ভারতের প্রশংসা করল।

Asset ED FATF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy