—প্রতীকী চিত্র।
ল্যাপটপের অভাবে পড়াশোনা চালানোর উপায় নেই। আর সেই দুঃখে আত্মঘাতী হলেন দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী ঐশ্বর্য রেড্ডি। করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে অনলাইনে চলছে ক্লাস। ফোনে ক্লাস করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে ঐশ্বর্য কয়েকদিন আগেই বাবাকে বলেছিলেন, একটা ল্যাপটপের কথা। সেকেন্ড হ্যান্ড হলেও চলবে, কিন্তু ল্যাপটপ ছাড়া ক্লাস করা সম্ভব নয়, বলেছিলেন তিনি। পেশায় মোটর সাইকেল মেকানিক ঐশ্বর্যর বাবা সঙ্গে সঙ্গে ল্যাপটপ কিনে দিতে পারেননি। বলেছিলেন কয়েকদিন অপেক্ষা করতে। কিন্তু তার মধ্যেই আত্মঘাতী হল মেয়ে।
হতভাগ্য বাবা জানিয়েছেন, তিনি সামান্য অর্থ জোগাড় করেছিলেন মেয়ের পড়াশোনার জন্য। কিন্তু পরিবারের সবচেয়ে মেধাবী ঐশ্বর্যের প্রয়োজন ছিল আরও বেশ কিছু টাকা। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮.৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পরেও তাই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ধুঁকতে হচ্ছিল তাঁকে। ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতেই ফোনে অনলাইন ক্লাস করছিলেন তিনি। কিন্তু অক্টোবরের শেষের দিকে বাবাকে বলেন ল্যাপটপের কথা। লকডাউনের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপের টাকাও জোগাড় করে উঠতে পারেননি ঐশ্বর্যের বাবা। তাই সুইসাইড নোটে ঐশ্বর্য লিখে গিয়েছেন, ‘আমি পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে উঠেছি। আমি জানি আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা কীরকম। আমার পড়াশোনা চালানো মানে বোঝা ঘাড়ে নেওয়া। কিন্তু পড়াশোনা যদি না থাকে, তাহলে আমার বেঁচে লাভ কী? দয়া করে চেষ্টা করুন, ইনস্পায়ার স্কলারশিপ যাতে সকলেই পান’। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে স্কলারশিপের অনুমোদন পেয়েছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু সেটি হাতে পেতে অনেক দেরি হচ্ছিল।
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলেন অঙ্কের ছাত্রী ঐশ্বর্য। কিন্তু গত মঙ্গলবারের সব শেষ হয়ে গেল। পরিবারের বাকিরা যখন একটি ঘরে ছিলেন, তখনই অন্য ঘরে আ্ত্মঘাতী হলেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাদক কাণ্ডে এ বার অর্জুন রামপালের বাড়িতে তল্লাশি এনসিবির
আরও পড়ুন: বিহারে জল্পনা তেজস্বীকে ঘিরে, ‘চোরাশিকার’ রুখতে সক্রিয় কংগ্রেস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy