Advertisement
E-Paper

টাকা ঢালুন, নির্মলাকে বলল বণিকসভা

মে মাসে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৪৭
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি পিটিআই।

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি পিটিআই।

ঘাটতির কথা ভুলে আর্থিক বৃদ্ধির জন্য টাকা ঢালুন।

বাজেট প্রস্তুতিতে সব মহলের সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রথম দিনেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে শিল্পমহল প্রায় এক সুরে বলল, ঘাটতির কথা আগামী বছর বা তার পরে ভাবা যাবে। এখন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পরিকাঠামোয় দরাজ হাতে টাকা ঢালুন। সেই সঙ্গে অতিমারির মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতেও আরও বরাদ্দ বাড়ান।

মে মাসে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে শেষ পর্যন্ত তার মাত্র ১০ শতাংশ খরচ হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বার বার অভিযোগ তুলেছেন, মোদী সরকার অর্থনীতিতে জোয়ার আনতে, বাজারে চাহিদা বাড়ানোর জন্য রাজকোষ থেকে যথেষ্ট টাকা খরচ করছে না। মূলত ব্যাঙ্কের ঋণের উপরই নির্ভর করছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই ব্যাঙ্কের ঋণও বিশেষ বিলি হয়নি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ একে সকলের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকার ‘ভোটের জুমলা’-র মতো ‘করোনা জুমলা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

আজ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে বণিকসভা সিআইআই সভাপতি উদয় কোটাক বলেন, ‘‘করোনার সময়ে কর বাবদ আয় যথেষ্ট কমে গিয়েছে বলে আগ্রাসী হয়ে বিলগ্নিকরণ ও সরকারি সম্পত্তি বেচে টাকা তুলতে হবে। সিআইআই সুপারিশ করেছে, বাজেটে আর্থিক বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে। চলতি বছরের রাজকোষ ঘাটতির কথা না ভেবে তিন বছরের সময়কালে ঘাটতি নিয়ে ভাবতে হবে।’’

চলতি অর্থ বছরে রাজকোষ ঘাটতি ৩.৫ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য নিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু বাজেট তৈরির সময়ে করোনার ধাক্কা লাগেনি। এখন ঘাটতির হার লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন। অর্থ মন্ত্রকই ঘোষিত লক্ষ্যের দেড়গুণ ঋণ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

বণিকসভা ফিকি সুপারিশ করেছে, এখনও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আরও দাওয়াই দরকার। ঘাটতির কথা পরে ভাবা যাবে। আর এক বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম সুপারিশ করেছে, কর্পোরেট সংস্থার করের হার কমানোর পরে এবার সাধারণ মানুষের আয়করের হারও কমানো হোক। তা হলে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেশি থাকবে। শিল্পপতিদের মতে, সরকারকে দুটি ক্ষেত্রে খরচে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক, পরিকাঠামো, দুই, স্বাস্থ্য। নীতিগত ভাবে বেসরকারি লগ্নি টানা এবং কর্মসংস্থানে সাহায্য করার পদক্ষেপ করতে হবে।

Nirmala Sitharaman FICCI
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy