বিরোধী শিবির যখন ভোটার তালিকা সংশোধনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে ব্যস্ত, সেই সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সোমবার দুপুরে লোকসভায় নতুন আয়কর আইনের সংশোধিত বিল পেশ করলেন। দু’ঘণ্টা পরে সেই বিল পাশও হয়ে গেল। বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে, কোনও আলোচনা ছাড়াই।
নতুন আয়কর বিলের লক্ষ্য, ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের সরলীকরণ করে ঢেলে সাজা। ব্যক্তিগত ইমেল বা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আয়কর দফতরের ক্ষমতা বাড়ানোর কথাও রয়েছে বিলে। গত ফেব্রুয়ারিতে লোকসভায় বিল পেশের পরে সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। কমিটির রিপোর্ট আসার পরে, পুরনো বিল প্রত্যাহার করে নতুন বিল পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, সিলেক্ট কমিটির প্রায় সব সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়েছে। নতুন আয়কর আইনের বিলের সঙ্গে কর সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী বিল এনে ২০২৫-এর অর্থ বিলে সংশোধন করা হচ্ছে। যাতে ‘ইউনিফায়েড পেনশন’ প্রকল্পে গ্রাহকদের কর ছাড় দেওয়া যায়।
শুধু আয়কর আইনের দু’টি বিল নয়, আজ লোকসভায় ক্রীড়া প্রশাসন ও ডোপিং বিরোধী বিলও পাশ করিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার। রাজ্যসভাতেও হট্টগোলের মধ্যে গোয়ায় জনজাতি প্রতিনিধিত্ব বিল, মার্চেন্ট জাহাজ বিল, মণিপুরের বাজেট ও জিএসটি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। ফলে মঙ্গলবারই সংসদের বাদল অধিবেশনে ইতি টানা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, “দেখা যাক, বিরোধীরা সংসদ চালাতে আগ্রহী নয়। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানেও আস্থা নেই ওঁদের।” প্রসঙ্গত, বুধ থেকে রবিবার পর্যন্ত ছুটির পরে আরও চার দিন সংসদ চলার কথা ছিল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)