দমকলের গাড়ির ঘণ্টিতে রাস্তার যানজট হঠাতেই কি আগুন লাগার ভুয়ো ফোন মিলেছিল? তারই উত্তর খুঁজছে দমকল। ফোন নম্বরের তথ্য ঘেঁটে সেটির মালিকের হদিস পেতে চাইছে করিমগঞ্জ পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত আজ সকালে। চৈত্র সেলের কেনাকাটার জন্য ব্যাপক ভিড় জমে করিমগঞ্জের স্টেশন রোডের মতো বাজার এলাকাগুলিতে। রাস্তায় ক্রেতাদের ভিড়ে যানজট ছড়ায়। গাড়ি তো বটেই, রিকশা-অটোরিকশা-মোটরসাইকেল মিলিয়ে এক সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, হেঁটেও রাস্তা পার করতে হিমসিম হন নাগরিকরা।
ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা ১০ মিনিট। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দমকল দফতরে ফোন বেজে ওঠে। ও পারে নিজেকে রাজু দাস বলে পরিচয় দেন এক যুবক। তিনি জানান, ইন্দিরা কলোনিতে বড় আগুন লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গেই সে দিকে রওনা দেয় দমকলের দু’টি গাড়ি।
যানজট হঠিয়ে গন্তব্যে পৌঁছয়। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো আচমকা দমকলের গাড়ি ঢুকতে দেখে হতবাক হয়ে যান এলাকার অনেকেই। অবাক হন দমকলকর্মীরাও। আগুন কোথায়! ধোঁয়াটুকুও যে দেখা যাচ্ছে না। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় করিমগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘোরাঘুরি করলেও আগুনের হদিস মেলেনি।
কেন ফোন গেল তা হলে দমকল অফিসে? সে কথা বোঝার চেষ্টা করেন সকলে। তখনই পুলিশের কেউ কেউ জানান, দমকল কেন্দ্র থেকে ইন্দিরা কলোনিতে পৌঁছতে হলে স্টেশন রোড দিয়ে যেতে হয়। দুপুরের দিকে সেখানেই ছিল যানজট। তা থেকে রেহাই পেতেই কেউ এমন কাণ্ড করেছে। কারণ, ঘণ্টি বাজিয়ে দমকলের গাড়ি গেলে এমনিতেই সরে যাবে রাস্তার যানজট।
পুলিশ সূত্রে খবর, দমকল কেন্দ্রে ফোন গিয়েছিল ৯৪০১২২৮৪৩৮ নম্বর থেকে। এখন সেই ফোনের মালিকের কাছে পৌঁছতে চায় পুলিশ।
করিমগঞ্জ সদর থানার আধিকারিক মিন্টু শীল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এ রকম মজা করা উচিত হয়নি। কারণ তখন অন্য কোনও জায়গায় আগুন লাগতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ওই যুবককে খুঁজে বের করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy