পশ্চিম এশিয়ার স্থলবেষ্টিত দেশ মালিতে ফের উত্তেজনা। সম্প্রতি আল কায়দার মদতপুষ্ট একটি সংগঠন সে দেশে জ্বালানি অবরোধের ডাক দিয়েছে। ফলে মালিতে জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পড়েছে একের পর এক তেলের ট্যাঙ্কার। গত কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে সে দেশে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মালির পশ্চিম দিকে কোবরি এলাকা থেকে পাঁচ জন ভারতীয়কে অপহরণ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অপহরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অপহৃত পাঁচ জন মালির বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন। যে সংস্থায় তাঁরা কর্মরত ছিলেন, সেই সংস্থার এক প্রতিনিধি এএফপি-কে জানিয়েছেন, আরও কয়েক জন শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে ওই পাঁচ ভারতীয় শ্রমিক ছাড়া বাকিদের নিরাপদে উদ্ধার করে রাজধানী বামাকোয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই মালিতে সক্রিয় আল কায়দা এবং আর এক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। গত কয়েক বছর ধরে আফ্রিকার এই দেশটিতে সামরিক শাসন চলছে। সে দেশের সামরিক শাসক জেনারেল আসিমি গোয়েটা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিস্তার বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েই ২০২০ সালে মসনদে বসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সেই কাজে পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি।
মালিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরির নেপথ্যে যে সংগঠন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেটির নাম ‘জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন’ (জেএনআইএম)। আল কায়দার সমর্থনপুষ্ট এই সংগঠন আগেও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের অপহরণ করে সরকারের সঙ্গে দর কষাকষির পথে হেঁটেছে। এখনও পর্যন্ত জেএনআইএম মূলত মালির উত্তরাংশে সক্রিয় রয়েছে। তবে ক্রমশ তাঁরা মধ্য মালি, সে দেশের রাজধানী বামাকোর দিকে এগোচ্ছে। তা নিয়ে চিন্তায় মালির সরকারও। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে টের পেয়েই দেশের নাগরিকদের মালি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে ফ্রান্স। প্রসঙ্গত, মালি এক সময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল।