৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি কমলেও অসমে নদীর জলে বন্যাকবলিতের সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে, অরুণাচলে বৃষ্টি ও ধসে রাজ্যের বহু অংশ এখনও মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। মণিপুরেও বৃষ্টিতে অনেক এলাকা জলমগ্ন।
বৃষ্টি কমায় অসমের নদীগুলিতে জল কমলেও যোরহাট, শিবাসগর, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, কাছাড় ও চড়াইদেও জেলার বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৯২ হাজার ৭২৯ জন। শিবসাগর, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড় ও চড়াইদেও জেলার ৪০টি ত্রাণ শিবিরে ৭ হাজার ৪১২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ৪ হাজার ৯০৫ হেক্টর জমি জলের তলায়। শিবসাগরে বুড়িডিহিং ও দিসাং নদী বিপদসীমার উপরে বইছে।
অরুণাচলপ্রদেশের আনজাও জেলার হায়ুলিয়াং এলাকায় দিন মজুরের কাজ করা মদন তাঁতি ধসে চাপা পড়ে মারা যান। তাঁদের বাঁশের ঘর ভেঙে নিয়ে যায় ধস। কিন্তু কপালজোরে ওই ঘরে থাকা মদনবাবুর এক সঙ্গী জখম হলেও বেঁচে গিয়েছেন। মদন তাঁতি অসমের তিনসুকিয়া জেলার বাসিন্দা। বর্ডার রোড টাস্ক ফোর্সের মতে, এ বছর এপ্রিলের বৃষ্টি বিগত সব নজির ভেঙে দিয়েছে। হাওয়াই এলাকায় এ কদিনে ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টি পড়েছে। বাকি রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন আনজাওয়ের বিভিন্ন অংশ। মণিপুরের কুম্বোই, বিষ্ণুপুর, থৌবাল, কাংপোকপি, নামবোলে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে অনেক বাড়ি ভেঙেছে। বেশ কিছু এলাকা এখনও জলে ডোবা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy