হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আটবারের সাংসদ তথা এনসিপি ও এনপিপির প্রতিষ্ঠাতা পূর্ণ অ্যাজটেক সাংমা। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিল জেলার চাপাঠি গ্রামে পূর্ণর জন্ম। কয়েক দিন ধরে সামান্য অসুস্থ ছিলেন পূর্ণ। শুক্রবার সকালে নয়াদিল্লির বাড়িতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।
মেঘালয়ের সেন্ট অ্যান্থনিজ কলেজ থেকে স্নাতক পূর্ণ ১৯৭৩ সালে মেঘালয় যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি হন।
১৯৭৭ সালে তুরা থেকে প্রথম বার লোকসভার সাংসদ হন পূর্ণ। সেই থেকে নবম লোকসভা বাদে তুরা থেকে আটবার সাংসদ হন তিনি। গারো পাহাড়ে প্রচলিত প্রবাদই রয়েছে, পূর্ণ কখনও হারতে পারেন না। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত লোকসভার স্পিকার ছিলেন তিনি।
গাঁধী পরিবারের বিরোধিতা করায় ১৯৯৯ সালে শরদ পওয়ার ও তারিক আনোয়ারের সঙ্গেই কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন পূর্ণ। তৈরি করেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপি। ২০০৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হন পূর্ণ। অবশ্য সেই সম্পর্ক এক বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি। ফের এনসিপির সাংসদ হন তিনি।
২০১৩ সালে পূর্ণ এনসিপি ছেড়ে ন্যাশনালিস্ট পিপল্স পার্টি তৈরি করেন। বিধানসভায় এনপিপি মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়েও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।
পূর্ণর কন্যা আগাথা সাংমা, কনরাড সাংমা ও জেম্স সাংমা তিনজনই রাজনীতিতে আছেন। ২০০৮ সালে পূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনে লড়তে নামলে তুরা আসন থেকে তাঁর কন্যা আগাদা সাংমা সাংসদ হন। পরে আগাথা দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিমন্ত্রী হন। কনরাড মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা।
দলবদলই হোক বা একের পর এক ভোটে জয়, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মেঘালয়কে উঠিয়ে আনা হোক বা মেঘালয়ের মাটিতে প্রথম ক্যারাভান প্রচার- পূর্ণ সাংমা ছিলেন রাজ্যের রাজনীতিতে কিম্বদন্তী।