বিজেপি সাংসদ তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওতকে চড় মারা উচিত বলে বিতর্কে জড়ালেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে এস আলাগিরি। ২০২০ সালে দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলন চলাকালীন সেখানে ধর্নায় বসা এক বৃদ্ধার প্রতি সমাজমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। ১০০ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে ওই বয়স্ক মহিলা কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন বলে তখন সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন কঙ্গনা। তবে প্রবল সমালোচনার মুখে সেই পোস্ট ডিলিটও করেন হিমাচল প্রদেশের মণ্ডীর বিজেপি সাংসদ। সম্প্রতি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা মহিলাদের সম্পর্কে কঙ্গনা ফের অপমানজনক মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন আলাগিরি। তাঁর বক্তব্য, তাঁর রাজ্যের কিছু মহিলা কৃষক এসে তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, সংবাদমাধ্যমের কাছে কঙ্গনা চাষের কাজ প্রসঙ্গে বলেছেন, ১০০ টাকা দিলে ওই মহিলারা যে কোনও জায়গায় গিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। এর পরেই ক্ষিপ্ত আলাগিরি বলেছেন, তাঁদের এলাকায় কঙ্গনা পা রাখলেই যেন তাঁকে ওই মহিলারা চড় মারেন।
গত বছর সিআইএসএফের এক মহিলা কনস্টেবল কঙ্গনাকে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে চড় মেরেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে নিজের রাজ্যের মহিলাদেরও সেই ভাবেই কঙ্গনাকে চড় কষানোর নিদান দিয়েছেন আলাগিরি। যা নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। কঙ্গনাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর যেখানে খুশি তিনি সেখানেই যেতে পারেন। কুলুতে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘‘কেউ কাউকে আটকাতে পারে না। কিছু মানুষ যেমন আমাকে ঘৃণা করেন, তার থেকেও বেশি অনেকে আমাকে ভালবাসেন।’’ তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা। সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন বিজেপি সাংসদ।
এর মধ্যে কঙ্গনার একটি মন্তব্য নিয়েও সমাজমাধ্যমে শোরগোল শুরু হয়েছে। বন্যা-বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশের সোলাঙ্গ এবং পালচন এলাকায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজের রেস্তরাঁর ক্ষতি নিয়ে মুখ খুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন। কঙ্গনা বলেছেন, ‘‘আমারও তো বাড়ি এখানে। আমার উপর দিয়েও কী যাচ্ছে সেটা জানুন। গত কাল আমার রেস্তরাঁয় মাত্র ৫০ টাকার ব্যবসা হয়েছে। এ দিকে, রেস্তরাঁর কর্মীদের মাইনে দিতে হয় মাসে ১৫ লক্ষ টাকা।’’ কঙ্গনার এ হেন মন্তব্য নিয়ে নেটনাগরিকদের একাংশ তাঁর প্রবল সমালোচনা শুরু করেছেন। এক জন লিখেছেন, ‘ওঁর মাত্র ৫০ টাকা রোজগার হয়েছে বলে কি উনি এখন বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষদের ওঁর রেস্তরাঁয় যেতে বলছেন?’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)