প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয়কৃষ্ণ সন্দিকৈ-এর জীবনাবসান হয়েছে। আজ যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। গত কাল শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর চিকিৎসায় ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজ থেকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ যোরহাটে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়েই গুয়াহাটিগামী মুখ্যমন্ত্রী ফের যোরহাট ফিরে যান।
১৯৩৪ সালের ১ ডিসেম্বর যোরহাটে জন্ম হয় বিজয়কৃষ্ণবাবুর। স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজয়কৃষ্ণ সপ্তম শ্রেণিতেই ছাত্র কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে অসম প্রোভিনসিয়াল নির্বাচনে তিনি ছাত্রদের নিয়ে ‘ভোট ফর কংগ্রেস’ অভিযান চালান। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন ছেলে রাজনীতি নয়, শিক্ষার পথেই থাকুক। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক হয়ে বিজয়কৃষ্ণবাবু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেন। কিন্তু, ১৯৬১ সালে তিনি পুরোপুরি কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁর উদ্যোগে যোরহাটে গড়ে ওঠে ‘হেমলতা সন্দিকৈ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট’। ২০১৪ সাল পর্যন্ত যোরহাট থেকে টানা ছ’বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। কংগ্রেসের সাংসদ হলেও বিজয়কৃষ্ণ আফস্পার বিরুদ্ধে বরবার সরব ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিরক্ষা, সংসদ বিষয়ক, সার ও রয়াসন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় খনি ও উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন।