Advertisement
E-Paper

আত্মহত্যা ঠেকাতে এ বার থেকে সিলিং ফ্যানে সেন্সর, সাইরেন

আত্মহত্যা ঠেকাতে সিলিং ফ্যানে সেন্সর এবং সাইরেন লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল কোটার একটি ছাত্রাবাস। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কোটায় পড়তে আসা ছাত্রদের অনেকেই মারাত্মক মানসিক অবসাদে ভোগেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ১২:২৬
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আত্মহত্যা ঠেকাতে সিলিং ফ্যানে সেন্সর এবং সাইরেন লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল কোটার একটি ছাত্রাবাস। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, কোটায় পড়তে আসা ছাত্রদের অনেকেই মারাত্মক মানসিক অবসাদে ভোগেন। এই কারণে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে শেষ কয়েক বছরে। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই সিলিং ফ্যানকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেন ছাত্ররা। সিলিং ফ্যান থেকে গলার দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে এ বার এই অভিনব পন্থা নিল এই ছাত্রাবাস। অভিনব এই সিলিং ফ্যানে ২০ কেজির বেশি ওজন যোগ হলেই তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বিপদের জানান দেবে। ফ্যানে থাকবে সেন্সর, যা অতিরিক্ত ওজনে সাইরেন বাজাতে থাকবে। ফ্যানে লাগানো থাকছে অত্যাধুনিক ‘সিক্রেট’ স্প্রিং এবং সাইরেন। হোস্টেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আত্মহত্যার হার কমাতেই এই সিদ্ধান্ত।

পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কোটার ওই ছাত্রাবাসের প্রধান নবীন মিত্তল বলেন, ‘‘সিলিং ফ্যানে ২০ কেজির বেশি ওজন চাপানো হলেই তা বিপদ সঙ্কেত দেবে। আমাদের আশা, এতে আত্মহত্যার ঘটনা অনেকটাই কমানো যাবে।’’

আরও পড়ুন: আজ থেকেই বন্ধ জাতীয় সড়কের ধারের হাজার হাজার মদের দোকান

প্রতি বছর দেশের প্রচুর ছাত্রছাত্রী কোটায় আসেন আইআইটি, নিট এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কোচিংয়ের জন্য। কোনও কোনও বছর এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ায় পৌনে ২ লক্ষের কাছাকাছি। কিন্তু পরীক্ষা এবং পড়াশোনার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন অনেকেই। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি)-র একটি রেকর্ড জানাচ্ছে, ২০১৪ সালে আত্মহত্যার সংখ্যাটা ছিল ৪৫। তবে ২০১৬-য় তা কমে দাঁড়িয়েছিল ১৭। সেই প্রবণতা আটকাতেই এমন সিদ্ধান্ত নিল এই হোস্টেল কর্তৃপক্ষ।

Ceiling Fans Kota Hostel Suicide Sensor Siren
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy