সোমবার রাতে পড়ুয়ারা তাঁর কেবিন ঘিরে ফেললে ‘নিরাপত্তার অভাব’ বোধ করছিলেন তিনি। ছাত্রদের ঠেকাতে তাই বাধ্য হয়েই এফটিআইআই-এ বাউন্সার ডাকা হয় ওই দিন। তবে সেই সিদ্ধান্ত ছিল কলেজ কর্তৃপক্ষের। ক্যাম্পাসে বাউন্সার ঢোকানো নিয়ে একাধিক মহলের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে এই যুক্তিই দিলেন ডিরেক্টর প্রশান্ত পাথরাবে। যদিও সে দিনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন এফটিআইআই-এর কার্যনির্বাহী ডিন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবারই পুণের পড়ুয়াদের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়াতে পুণে যাবেন তৃণমূলের তিন সাংসদ। আজ তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়ান বলেছেন, ‘‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গে দু’ঘণ্টা কাটাব। ওঁদের কথা শুনব।’’ ডেরেক ছাড়াও পুণে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শতাব্দী রায়।
এফটিআইআই-এর পরিচালন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে গজেন্দ্র চৌহানকে সরাতে পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভ সোমবার মধ্য রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশি অভিযানের পর অন্য মোড় নেয়। ডিরেক্টর প্রশান্ত পাথরাবের এই সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঢেউ ওঠে শিক্ষাজগতের বহু ক্ষেত্র থেকে। এমনকী গত কাল এফটিআইআই-এর পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকের পর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও মনে করছেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়াতে বাউন্সারের প্রয়োজন ছিল না।
যদিও পাথরাবে বলেছেন, আমি অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাইনি। তবে এটা সত্যি, টানা এগারো ঘণ্টা ঘেরাওয়ের সময় ছাত্রদের তাণ্ডবের মুখে আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলাম। সব দিক বিচার করে এফটিআইআই কর্তৃপক্ষই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।’’ তবে এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে ডিন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় জানান, বাউন্সার ঢোকানোর অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে সামরিক ক্যাম্পে পরিণত করা। ছাত্রদের বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে শনিবার সভা করেন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর সমর্থকরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy