Advertisement
E-Paper

অমিতাভ-রজনী ব্যস্ত বলেই কি পদে গজেন্দ্র

তালিকায় নাকি ছিলেন রজনীকান্ত ও অমিতাভ বচ্চন। চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল গুলজার, শ্যাম বেনেগাল এবং আদুর গোপালকৃষ্ণনকে নিয়েও। শুক্রবার বিভিন্ন সূত্রে নামগুলো উঠে আসার পর পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-র চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৫ ০৪:০৩

তালিকায় নাকি ছিলেন রজনীকান্ত ও অমিতাভ বচ্চন। চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল গুলজার, শ্যাম বেনেগাল এবং আদুর গোপালকৃষ্ণনকে নিয়েও।

শুক্রবার বিভিন্ন সূত্রে নামগুলো উঠে আসার পর পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-র চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। যার উত্তরে ওই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা-পরিচালকদের নাম নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি কেন্দ্র। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর বলেছেন, ‘‘এমন এক জন চেয়ারম্যান চাই, যিনি প্রতিষ্ঠানকে সময় দিতে পারবেন।’’ মন্ত্রকের অন্য একটি সূত্রেরও দাবি, চেয়ারম্যান হিসেবে যাঁদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল, তাঁরা সকলেই ব্যস্ত।

সম্ভবত তাই গজেন্দ্র চৌহান। মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, তিনি চেয়ারম্যান পদ গ্রহণে শুধু যে আগ্রহী ছিলেন তা-ই নয়, প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সময় দিতেও ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কাজেই ঝুলিতে বিরাট কোনও স্বীকৃতি না থাকলেও তাঁকেই যোগ্য বলে মনে করেছে মন্ত্রক।

ইতিমধ্যে বিস্ফোরক টুইট করেছেন অস্কারজয়ী সাউন্ড ডিজাইনার রেসুল পুকুট্টি। এফটিআইআই-এর এই প্রাক্তনী দাবি করেন, ‘‘অরুণ জেটলি নিজে আমাদের বলেছেন, গজেন্দ্রর নিয়োগটা সেরা সিদ্ধান্ত না হলেও সরকারের পক্ষে এখন পিছিয়ে আসাও সম্ভব নয়।’’ যদিও এই দাবি সম্পর্কে মন্ত্রকের তরফে কেউ কিছু বলেননি।

গজেন্দ্রর ইস্তফার দাবিতে ধর্মঘটী ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে আগেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অনুপম খের, শত্রুঘ্ন সিন্হা এবং রণবীর কপূর। এ দিন একই সুর শোনা গেল রণবীরের বাবা, অভিনেতা ঋষি কপূরের গলায়। আজ পর পর দু’টি টুইটে তিনি গজেন্দ্রর উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘পড়ুয়াদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান পদের জন্য লড়াই করে কোথাও পৌঁছনো যাবে না। যে ভাবে প্রতিবাদ ও বিতর্ক বেড়ে চলেছে, এফটিআইআই চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছায় অবসর করা নেওয়া উচিত। তাতে আখেরে পড়ুয়াদের মঙ্গলই হবে।’’ সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহও। তাঁরও মত, পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতে গজেন্দ্রর পদ থেকে সরে যাওয়াই উচিত।

তবে গজেন্দ্র অনড়ই। প্রবীণ অভিনেতাদের মন্তব্যকে যে তিনি গায়ে মাখছেন না, তা-ও আজ স্পষ্ট করে দেন তিনি। একটি চ্যানেলের দাবি, আজ যোগাযোগ করা হলে গজেন্দ্র প্রথমে বলেন, ‘‘কে অনুপম খের? কে ঋষি কপূর?’’ টিভিতে সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সন্ধ্যায় নতুন বিবৃতি দিয়ে ওই রাজনীতিক-অভিনেতা দাবি করেন, তিনি এমন কথা বলেননি।

পরে গজেন্দ্র বলেছেন, ‘‘কী থেকে অবসর নেব? এক জন শিল্পী কী করে অবসর নিতে পারেন?

কেন্দ্র আমার যোগ্যতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়েই আমাকে নিয়োগ করেছে। মন্ত্রক যেমন নির্দেশ দেবে, তেমন ভাবেই কাজ করব।’’ প্রতিষ্ঠানের অচলাবস্থা নিয়ে এখনও তাঁর যুক্তি, ‘‘পড়ুয়াদের একাধিক বার বলা হয়েছে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান বের করতে।’’

FTII Gajendra Chauhan Amitabh Bachchan Rajnikanth
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy