Advertisement
E-Paper

‘গণধর্ষণ, মুখে প্রস্রাব, শরীরে ভাইরাস’! কর্নাটকের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহিলার, মামলা আট ধারায়

নিজের অফিসের ভিতর এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কর্নাটকের এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। শুধু গণধর্ষণই নয়, ওই মহিলার মুখে প্রস্রাব এবং ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁর শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করানোরও অভিযোগ উঠেছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৮:২৬

—প্রতীকী চিত্র।

নিজের অফিসের ভিতর এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল কর্নাটকের এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। শুধু গণধর্ষণই নয়, ওই মহিলার মুখে প্রস্রাব করা এবং ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁর শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করানোরও অভিযোগ উঠেছে। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, বছর চল্লিশের ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে মোট আটটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে রাজারহেশ্বরী নগরের চার বারের বিধায়ক মুনিরত্ন এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

এক সময়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন মুনিরত্ন। তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার আরএমসি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগকারিণী মহিলাও বিজেপি কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার অভিযোগ, গত বছর ১১ জুন বিধায়কের মাথিকেরের অফিসে ঘটনাটি ঘটে। মুনিরত্নের সহযোগীরাই তাঁকে গাড়িতে করে ওই অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন। অফিসে নিয়ে যাওয়ামাত্রই বিধায়ক তাঁর দুই সহযোগীকে বলেন ওই মহিলাকে ধর্ষণ করতে। মহিলা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। কথা না-শুনলে তাঁর ছেলেকে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন খোদ বিধায়কই। এর পরেই বিধায়ক তাঁর মুখে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ মহিলার।

পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার দাবি, তাঁকে গণধর্ষণের পর এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বিধায়কের অফিসে যান। তাঁর হাতে একটি সাদা বাক্স ছিল। বাক্সটি বিধায়কের হাতে ধরিয়ে তিনি চলে যান। এর পর বিধায়ক ওই বাক্স থেকে একটি ইঞ্জেকশন বার করে তাঁর শরীরে ফুটিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি মাসে একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অনুমান, ঘটনার দিন বিধায়ক যে ইঞ্জেকশন শরীরে ফুটিয়েছিলেন, তার থেকেই তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হন। গত সোমবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন মহিলা। ওষুধও খেয়েছিলেন। কিন্তু সুস্থ হননি। এর পরেই তিনি পরিবারকে বিষয়টি জানান। তার পরেই অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়।

মহিলার দাবি, এর আগে তাঁকে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিলেন মুনিরত্ন। যার জেরে মহিলার জেলও হয়েছিল। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিধায়কের সহযোগীরা তাঁকে জানান যে, বিধায়ক সব মামলা তুলে নেবেন। সেই প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পরেই তিনি বিধায়কের অফিসে যেতে রাজি হয়েছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের চার সহযোগীর মধ্যে তিন জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। চতুর্থ জনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিধায়ক এবং ওই চার জনের বিরুদ্ধে আটটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিধায়কের প্রতিক্রিয়া এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

Sexual Assault Crime Against Women Karnataka Gangrape
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy