Advertisement
১৪ অক্টোবর ২০২৪
Atiq Ahmed Murder Case

উমেশ পাল হত্যায় ‘যুক্ত’, নিহত ‘গ্যাংস্টার’ আতিকের আইনজীবীকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ

১৫ এপ্রিল মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই আতিক এবং তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে আতিক-হত্যার বিবরণ তুলে ধরেন এই আইনজীবীই।

Gangster Atiq Ahmed’s lawyer arrested in witness Umesh Pal murder case

আতিক আহমেদ। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
লখনউ শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৩ ১০:২৯
Share: Save:

নিহত ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদের আইনজীবী বিজয় মিশ্রকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে লখনউয়ের একটি হোটেলের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিকদের সঙ্গেই জড়িত ছিলেন বিজয়।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিজয়ই উমেশের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে সাহায্য করেছিলেন আততায়ীদের। এই হত্যাকাণ্ডে বিজয়ের আর কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ। ২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন তৎকালীন বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) বিধায়ক রাজু। সেই খুনে নাম জড়ায় ‘গ্যাংস্টার’ আতিকের। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সুলেমসরাইয়ে বাড়ির সামনে খুন করা হয় রাজু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী উমেশকে। উমেশের খুনের পর আতিক, তাঁর ভাই আশরফ, স্ত্রী শায়িস্তা, আতিকের দুই ছেলে, সহযোগী গুড্ডু মুসলিম, গুলাম-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উমেশের স্ত্রী জয়া পাল।

গত ১৫ এপ্রিল মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে গুলি করে হত্যা করেন আততায়ীরা। চিৎকার করে স্লোগানও দেন। ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। ঘটনার সময় হাসপাতালের সামনেই ছিলেন আতিকের আইনজীবী বিজয়। সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিজয় বলেন, ‘‘পুলিশ ওঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। যেই ওঁরা হাসপাতাল চত্বরে ঢোকেন, গুলির শব্দ শোনা যায়। বিধায়ক এবং তাঁর ভাইয়ের গায়ে গুলি লাগে। ওখানেই ওঁদের মৃত্যু হয়।’’

বিচারাধীন বন্দিকে পুলিশের সামনেই ‘এনকাউন্টার’ করা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে সারা দেশে। আতিক-হত্যা উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। তাঁর মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে পুলিশের চোখের সামনেই কী ভাবে স্লোগান দিতে দিতে খুন করা হল, সেই প্রশ্নও ওঠে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE