এশ্বরাপ্পাকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়েছিল লস্করকে! — ফাইল ছবি।
পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং ভারতে অধুনা নিষিদ্ধ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই)-এর নিশানায় ছিলেন কর্নাটকের প্রথম সারির বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কেএস এশ্বরাপ্পা। এমনই স্বীকারোক্তি জেলবন্দি গ্যাংস্টার জয়েশ পূজারীর।
একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জয়েশ কর্নাটকের বেলগাভিতে তাঁর কয়েক জন সহযোগীকে এই কাজের ‘সুপারি’ দিয়েছিলেন। কাজ ছিল, এশ্বরাপ্পাকে খুন করা। ওই সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করেছিল এশ্বরাপ্পার সঙ্গেও। কর্নাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই খবরে ভীত নন। তিনি ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ভারতমাতাকে রক্ষার কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা এ সবে ভয় পান না বলেও দাবি এশ্বরাপ্পার।
তিনি নিজেকে হিন্দুত্ববাদী হিসাবে দাবি করেছেন এবং জানিয়েছেন, হিন্দুত্বকে খতম করা অসম্ভব। ঘটনাচক্রে, এশ্বরাপ্পা এ বারের বিধানসভা ভোটের লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন, ভোটের রাজনীতি থেকে তিনি এ বার অবসর নিতে চান। তাই আগামী ১০ মে-র ভোটে তাঁকে যেন কোথাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করানোর কথা বিবেচনা না করা হয়।
বেলগাভির জেলে বন্দি গ্যাংস্টার জয়েশ খুনের মামলায় অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ীর অফিসে ফোন করে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ইউএপিএ ধারায় মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর নাগপুরের পুলিশ জয়েশকে হেফাজতে নেয়। নাগপুরের পুলিশ সুপার অমিতেশ কুমার বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, জয়েশের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের গোষ্ঠীর যোগাযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও পিএফআই এবং লস্করের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy