(বাঁ দিকে) ফুলমালা, উত্তরীয় দিয়ে বরণ অভিযুক্তদের। নিহত সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
বুধবার সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে গুলি করে খুনের মামলায় অভিযুক্তদের আরও আট জনকে জামিন দিয়েছে বেঙ্গালুরু দায়রা আদালত। এ বার তাদের মধ্যেই দু’জনকে ফুলের মালা ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করল স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী।
ওই দুই অভিযুক্তের নাম পরশুরাম ওয়াঘমারে এবং মনোহর যাদভে। সাংবাদিককে খুনের দায়ে গত ছ’বছর ধরে জেলেই কাটিয়েছেন তাঁরা। শেষমেশ গত ৯ অক্টোবর, বুধবার বেঙ্গালুরু দায়রা আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। ১১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে পারাপ্পানের অগ্রহার জেল থেকে ছাড়া পান দুই অভিযুক্ত। বিজয়পুরায় নিজেদের এলাকায় ফেরার পরেই দু’জনকে মালা পরিয়ে বরণ করেন স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর সদস্যেরা। গায়ে জড়িয়ে দেন গেরুয়া উত্তরীয়। স্লোগান দিয়ে অভ্যর্থনাও জানানো হয় তাঁদের। অভিযুক্তদের দাবি, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। শুধু মাত্র হিন্দুত্ববাদী কর্মী হওয়ার কারণেই তাঁদেরকে এত দিন অন্যায় ভাবে জেলে রাখা হয়েছে। একই দাবি করেছেন তাঁদের সমর্থকেরাও।
আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে নিজের বাড়ির বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সাংবাদিক তথা সমাজকর্মী গৌরী লঙ্কেশের। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বাইকে চেপে এসে বেঙ্গালুরুর আরআর নগরের বাড়ির সামনে লঙ্কেশকে লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। লঙ্কেশের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। কারা হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখতে গড়া হয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দলও (সিট)। মোট ১৮ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ছিলেন ‘মাস্টারমাইন্ড’ অমল কালে, দুই হামলাকারী পরশুরাম ওয়াঘমারে ও গণেশ মিসকিন।
প্রসঙ্গত, পরশুরাম
এবং মনোহর ছাড়াও বুধবার জামিন পেয়েছেন অমল কালে, রাজেশ বাঙ্গেরা, বাসুদেব
সূর্যবংশী, ঋষিকেশ দেবদেকর, গণেশ মিসকিন এবং অমিত রামচন্দ্র বাদ্দি। এর আগে গত
জুলাই মাসে ওই খুনের ঘটনায় আরও তিন অভিযুক্ত অমিত দিগ্বেকর, এইচএল
সুরেশ ও কেটি নবীন কুমার শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছাড়া পান। গত বছরের ডিসেম্বরে ছাড়া
পান মোহন নায়েক নামে আর এক অভিযুক্ত। অর্থাৎ এই নিয়ে গৌরী-হত্যাকাণ্ডে মোট ১২ জনের
জামিন হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy