বরাকবাসীর স্বার্থে প্রস্তাবিত মিনি সচিবালয়ের জমির উপর থেকেwithdraw করে নিতে যানবাহন মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা গৌতম রায়। তিনি জানান, এতদিন সরকারি আইনজীবীর বাইরেও তিনি নিজে এক জন আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন সরকারে নেই বলে অনুরোধের রাস্তা নিয়েছেন। শিলচরে আজ সাংবাদিকদের ডেকে বলেন, ‘‘মামলার দরুন মিনি সচিবালয় তৈরি না হলে বরাকবাসী কাউকে মাফ করবে না।’’
এ বার মিনি সচিবালয় দেখিয়েই বরাকবাসীর ভোট টানতে চেয়েছিল কংগ্রেস-বিজেপি উভয় দল। কংগ্রেস ভোটের আগে সরকারি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। শিলান্যাসও হয়। কিন্তু যে জায়গাটি মিনি সচিবালয়ের জন্য বরাদ্দ, সেখানে এত দিন ছিল বাসস্ট্যান্ড। অভিযোগ, যানবাহন মালিকদের সংগঠন সিটিভিওএ-কে জমিটি মালিকানা স্বত্ত্ব সহ দান করেছিল সরকার। তাঁরা জমি ছাড়তে নারাজ। বিষয়টি আদালতে গড়ানোয় নির্মাণকাজ শুরু হয়নি।
বিজেপি সরকারে আসার পর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এক জন অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে রিপোর্ট করবে। সে জন্য তাদের ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
এই জায়গাতেই ভয় গৌতম রায়ের। তাঁর আশঙ্কা, জমিবিবাদকে অজুহাত করে মিনি সচিবালয় তৈরির ভাবনাকে হিমঘরে ঠেলে দেওয়া হতে পারে। তাই তিনি সিটিভিওএ-কে অনুরোধ করেন, মামলা প্রত্যাহার করে মিনি সচিবালয় তৈরির কাজে সাহায্য করার জন্য। সিটিভিওএ যে আইএনটিইউসি নিয়ন্ত্রিত এবং এর সাধারণ সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য জেলা কংগ্রেসেরই সাধারণ সম্পাদক, সে সব নিজেই উল্লেখ করে গৌতমবাবু বলেন, মামলা প্রত্যাগার করা হলে কংগ্রেসেরই লাভ হবে।
কিছু নেতার ভুলের জন্যই সরকারে থাকতে পারেনি কংগ্রেস, আজ তিনি ফের উল্লেখ করেন। ব্রডগেজ নিয়ে ইঙ্গিতে সন্তোষমোহন দেবের উদাসীনতাকে দায়ী করলেও আমলা নির্ভরতার জন্য তরুণ গগৈয়ের নামোল্লেখ করে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ক্যাবিনেট মন্ত্রী হলেও যে কোনও কাজে আমাদের চেয়ে আমলারাই তাঁর কাছে
বেশি গুরুত্ব পেতেন। এর ফল ভুগতে হল সবাইকে।’’
তবে বর্তমান মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের কাজকর্ম নিয়ে তিনি এখনই মন্তব্য করতে চান না। বলেন, ‘‘দু’মাসে বিচার করা যায় না।’’ ঠিকাদারদের কথায় কথায় অবিশ্বাস না-করতে পরামর্শ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy