ভোটের ফলে স্পষ্ট জনমত। এ বার সরকার গঠনের পালা। সেই লক্ষ্যেই আজ মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলোচনা হয়েছে শপথগ্রহণের দিনক্ষণ নিয়েও। তার মধ্যেই ভাসছে মন্ত্রিসভার জল্পনাও। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশ— এই ‘বিগ-ফোর’ এ কারা থাকবেন, সে সব নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিজেপির অন্দরের খবর, অমিত শাহকে সংগঠনের পাশাপাশি মন্ত্রিত্বে আনা হতে পারে। অসুস্থতার জন্য মন্ত্রিসভার বাইরে রাখা হতে পারে অরুণ জেটলিকে। পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সাফল্যের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ রাজ্যের উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
শনিবারের এই বৈঠকের পর থেকেই কার্যত শুরু হয়ে গেল সপ্তদশ লোকসভা গঠনের প্রোটোকল বা রীতিনীতি। সব মন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার নেতা হিসেবে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে পাঠিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে ষোড়শ লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করবেন। রাষ্ট্রপতি লোকসভা ভেঙে দেওয়ার পরই নবনির্বাচিত সাংসদদের তালিকা রাষ্ট্রপতিকে তুলে দেবে নির্বাচন কমিশন। তার পর সপ্তদশ লোকসভা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের দিনক্ষণ জানতে চাইবেন রাষ্ট্রপতি।
প্রোটেম স্পিকার নির্বাচিত হতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের বরেলি থেকে নির্বাচিত প্রবীণ সাংসদ সন্তোষ কুমার গাঙ্গোয়ার। তিনিই নবনির্বাচিত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করান। অন্য দিকে স্পিকার নির্বাচন নিয়েও জল্পনা রয়েছে। কারণ এ বার সুমিত্রা মহাজনকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। ফলে সপ্তদশ লোকসভার স্পিকার নিয়েও শুরু হয়েছে ভাবনাচিন্তা।