স্কুলে আর পাঁচ জনের সঙ্গে টিফিন খেতে বসেছিল ন’বছরে প্রাচী কুমাওয়াত। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই টিফিন আর তার খাওয়া হয়নি। টিফিনের বাক্স খোলার পরেই সে তার উপরে ঢলে পড়ে। আচমকা সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে যায়। আর ওঠা হয়নি।
রাজস্থানের সীকর জেলার দান্তা শহরের ঘটনা। ওই ছাত্রীর শরীরে কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়েনি শিক্ষিকাদের। টিফিনের সময়ে আচমকা সে হেলে পড়ে। মাথা ঝুঁকে যায় টিফিন বাক্সের উপরে। শিক্ষিকারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেন। স্থানান্তর করা হয় বড় হাসপাতালেও। কিন্তু প্রাচীকে বাঁচানো যায়নি। তার আকস্মিক এই মৃত্যুতে পরিবার শোকাহত। অথচ, প্রাচীর কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না বলেই জানাচ্ছেন পরিবারের লোকজন।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকদের মতে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে প্রাচী। তার শরীরের লক্ষণগুলি সে দিকেই ইঙ্গিত করছিল। তবে যেহেতু পরিবারের তরফে শিশুর দেহের ময়নাতদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তাই এই কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
সীকরের আদর্শ বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রিন্সিপাল নন্দকিশোর তিওয়ারি এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, গত তিন থেকে চার দিন প্রাচী স্কুলে অনুপস্থিত ছিল। তার সামান্য ঠান্ডা লেগেছিল। তবে সোমবার থেকে আবার সে স্কুলে আসছিল। আগের মতোই খেলাধুলা করছিল। তাকে আর অসুস্থ বলে মনে হচ্ছিল না। মঙ্গলবারও সকালে প্রাচী স্কুলের প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিল। ক্লাস করেছিল বেশ কয়েকটি। তার পর টিফিনের বিরতিতে এই অঘটন।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, “ন’বছরের ওই শিশুকে যখন আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন ওর হৃৎস্পন্দন ছিল না। আমরা সিপিআর দিই। অক্সিজেন এবং জরুরিকালীন সমস্ত ওষুধ দিয়ে ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। পরে ওকে আরও বড় একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। সেখানেও লাভ হয়নি।” চিকিৎসকদের মতে, এই শিশুটির হার্টে কোনও সমস্যা হয়তো আগে থেকেই ছিল। যা তার বাবা-মা জানতেন না। প্রাথমিক ভাবে একে হৃদ্রোগ বলেই মনে করছেন তাঁরা।