সোশ্যাল মিডিয়ার আলাপেই ২১ বছরের যুবকের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল ১৭ বছরের মেয়েটা। মিলেছিল বিয়ের প্রতিশ্রুতিও। কিন্তু ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের সেই প্রতিশ্রুতিই বদলে গেল বাস্তবে এসে। প্রথমে ধর্ষণ, তারপর ধর্ষণের ফলে প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ায় তাকে গর্ভপাতে বাধ্য করা হয়েছে বলে ওই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কিশোরী। পুনের এই ঘটনাই আবার সামনে এনে দিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ওত পেতে থাকা বিপদের দিকটা।
পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযু্ক্ত যুবক পুনের ধয়ারি এলাকার বাসিন্দা এবং একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। এই বছর জানুয়ারি মাসেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় দু’জনের। ফ্রেন্ডশিপ রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করার পর থেকে মাঝে মাঝেই চলতে থাকে চ্যাট। এই ভাবেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটিকে পুনে আসতে বলে অভিযুক্ত যুবক। কথা মতো মেয়েটি পুনে এলে তাকে কাটরাজের একটি লজে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। গত অগাস্ট মাসে মেয়েটি সন্তানসম্ভবা জেনে অভিযুক্ত যুবক তাকে জোর করে গর্ভপাতে বাধ্য করে। এর পর থেকেই সে মেয়েটিকে উপেক্ষা করা শুরু করে। পুনে এসে ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেও কোনও ফল হয়নি। মেয়েটির কোনও কথা শুনতে চায়নি অভিযুক্তের পরিবার। এর পরই মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরী।
ওই তরুণের বিরুদ্ধে ভারতী দণ্ডবিধির ৩৭৬(ধর্ষণ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলফি, চ্যাট, বন্ধুত্বের অত্যাধুনিক স্মার্ট জীবনের মাঝেই যে বিছানো রয়েছে অপরাধের জাল, বিপদের মেঘ ঘনিয়ে আসছে তরুণ প্রজন্মের জীবনে, এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল সেই কথাই। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই ধরনের অপরাধ বাড়ছে। বাড়ছে ভারতেও।
আরও পড়ুন: ‘নিষেধাজ্ঞা নেই, তবে মানুষের আবেগকে সম্মান করা উচিত’