প্রতীকী ছবি।
হারিয়ে গিয়েছিল ছ’বছরের ছোট্ট অনু। তন্ন তন্ন করেও কোথাও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দিন কয়েক পর অনুদের পাশের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। আর তাতেই সন্দেহ বাড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শেষে প্রতিবেশীর ওই বাড়ি থেকেই অনুর পুড়ে যাওয়া কালো, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে তাকে। ধর্ষণের প্রমাণ লোপাট করতেই তার পোড়া দেহ বাক্সে ভরে রাখা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল কর্নাটকের বীরভদ্রনগরের বছর ছয়েকের ওই নাবালিকা। স্থানীয় একটি স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত সে। প্রায় তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বিকালে তার দেহ উদ্ধার হয়। তার বাবা-মা দু’জনেই পেশায় দিনমজুর। বৃহস্পতিবারই থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ডায়েরি করেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এলাকায় খোঁজখবন নেয়। কিন্তু, তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: বিশেষ নিরাপত্তা সরাতেই খুনের হুমকি আজম খানকে!
এর মধ্যেই শনিবার রাত থেকে অনিল নামে এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। রবিবার সেই দুর্গন্ধ চরমে পৌঁছলে সন্দেহ হয় এলাকার মানুষের। তারা পুলিশে বিষয়টি জানায়। পুলিশ এসে অনিলের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আঁতকে ওঠে। আগুনে পোড়া ওই কিশোরীর দেহটি একটি বাক্সে ভরে রাখা ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর প্রমাণ লোপাট করতেই তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রতিবেশী অনিলের দিকেই। ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy