সোমবার গভীর রাতের বৈঠকে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে জোরদার করা নিয়ে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং এবং জর্ডনের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর। সেখানে গাজ়া পরিস্থিতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অগ্রাধিকার পেয়েছে যৌথ ভাবে সন্ত্রাসবাদ দমন। আর আজ দু’পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর করার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী এবং জর্ডনের রাজা। মঙ্গলবার আম্মানে আয়োজিত ভারত–জর্ডান বিজনেস ফোরামে যৌথ বক্তৃতায় দুই রাষ্ট্রনেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়ানো এবং আর্থিক বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেন। মোদীর কথায়, গভীর সভ্যতাগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে ভারত ও জর্ডনের মধ্যে একটি দৃঢ় সমসাময়িক অংশীদারি রয়েছে। আঞ্চলিক বাজারগুলির মধ্যে সংযোগকারী সেতু হিসেবে জর্ডনের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি আগামী পাঁচ বছরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করে ৫০০ কোটি আমেরিকান ডলারে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
বক্তৃতায় ভারতকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি বলে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জর্ডনের সংস্থাগুলিকে ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশাল বাজার, সম্প্রসারিত উৎপাদন ক্ষেত্র এবং স্থিতিশীল ও স্বচ্ছ নীতিগত পরিবেশ থেকে তারা লাভবান হতে পারবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য দু’দেশ একসঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য বণ্টন ও জোগান ব্যবস্থার অংশীদার হিসেবেও কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। ডিজ়িটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার, আইটি, অর্থপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, এবং কৃষি প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার সুযোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের নবীন সংস্থাগুলিকে অংশীদারি গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘ভারতের ওষুধ শিল্প ও চিকিৎসা সরঞ্জাম খাতে দক্ষতা এবং জর্ডনের কৌশলগত অবস্থান মিলিয়ে জর্ডনকে পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।’’
জর্ডন সফর শেষে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইথিয়োপিয়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন আদ্দিস আবাবা বিমানবন্দরে ইথিয়োপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলির সঙ্গে একটি কফি পানের আসরে যোগ দেন তিনি। তিন দেশ সফরের চূড়ান্ত পর্যায়ে এর পরে ওমানে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)