আদালত অবমাননার দায়ে আটক কংগ্রেস বিধায়ক এখনও শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান এআইইউডিএফ থেকে বহিষ্কৃত বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুঁইয়া। গত রাতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা গৌতম রায়। কংগ্রেস রাজনীতিতে দু-জনের সম্পর্ক সাপে-নেউলে হলেও বেশ কিছু সময় কথা বলেন দু-জনে।
সিদ্দেক অনুগামীদের অভিযোগ, পুরো ঘটনায় গৌতম রায়ের হাত রয়েছে। তাই তাঁরা গৌতম রায় এবং তাঁর অনুগত দুই বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমদ ও কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থর কুশপুতুল দাহ করেন। সিদ্দেক অবশ্য শুরু থেকে গৌতম রায় সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দক্ষিণ করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদের জামিনের আবেদন নিয়ে জেলা আদালতে আগামী কাল শুনানি হতে পারে। রেজাউল করিম নামে এক জনকে মারধরের মামলায় সিদ্দেককে আদালত
ডেকে পাঠালেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন। পরে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তিনি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাইকোর্টে গ্রেফতারি পরোয়ানা খারিজের আর্জি জানালে বিচারক তাঁকে নিম্ন আদালতে উপস্থিত
হতে নির্দেশ দেন। পরে করিমগঞ্জের এসিজেএম তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। করিমগঞ্জ জেলে নিয়ে যাওয়ার পর বুকে ব্যথার জন্য সিদ্দেককে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কাল পাঠানো হয় মেডিক্যাল কলেজে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনিন্দ্যসুন্দর বৈশ্য জানিয়েছেন, সিদ্দেক আপাতত স্থিতিশীল। তাঁর ইসিজি করা হয়। আগামী কাল সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক কল্লোল ভট্টাচার্য নিয়মিত তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy