বিহার রাজ্য সচিবালয় থেকে পশুপালন ও মৎস্য দফতরের প্রায় ৪৫০টি ফাইল খোয়া গিয়েছে। তিনটি আলমারির তালা ভেঙে ওই ফাইল লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল, বিজেপির অভিযোগ, ওই ফাইলগুলি কুখ্যাত বিহার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির ফাইল। যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পশুপালন দফতরের মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের অবধেশ কুমার সিংহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিখোঁজ ফাইলগুলির সঙ্গে পশুখাদ্য মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ সেই সব ফাইলই সিবিআই-এর জিম্মায় রয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ ভবনের প্রথম তলায় অবস্থিত প্রাণীসম্পদ দফতর থেকে তিনটি আলমারি ভেঙে গত ২৫-২৬ এপ্রিল ওই ফাইলগুলি লোপাট করা হয়। ওই আলমারির দায়িত্ব নিতে গিয়ে দফতরের এক করণিক বিষয়টি প্রথমে কর্তাদের নজরে আনেন। গত ৩০ এপ্রিল দফতরের কর্তারা পুলিশের কাছে এফআইআর করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেও কে অভিযোগ দায়ের করবে, কী ভাবে তা করা হবে তা নিয়ে টানাপড়েন চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গত ১৬ মে সচিবালয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সচিবালয় থানার আইসি অমরেন্দ্র ঝা বলেন, ‘‘গুরুত্ব দিয়ে ফাইল চুরির তদন্ত করা হবে। তবে এই চুরির জেরে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ পটনা সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টিতে সিবিআইও নজর রাখছে। ২৮ জুলাই থেকে সুপ্রিম কোর্টে লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি শুরু হবে। বিরোধী বিজেপি লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে। দলের রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, ‘‘লালুপ্রসাদকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচানোর জন্যই ফাইল চুরি করা হয়েছে। এই মামলার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া উচিত।’’