Advertisement
E-Paper

শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে সর্বদল বৈঠক! এসআইআর, দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা চাইল বিরোধীরা

আগামী সোমবার থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:২৪
সোমবার সর্বদল বৈঠক শুরুর আগে সংসদ সর্বদল বৈঠক করল কেন্দ্র।

সোমবার সর্বদল বৈঠক শুরুর আগে সংসদ সর্বদল বৈঠক করল কেন্দ্র। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে সংসদে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করল কেন্দ্র। প্রথামাফিক এই বৈঠকে অধিবেশনের সম্ভাব্য কার্যসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। বিরোধী দলগুলির সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তাদের তরফে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ছাড়়াও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়েও আলোচনার দাবি জানানো হয়েছে। অন্য দিকে, কেন্দ্রের তরফে অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য বিরোধী দলগুলির সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

আগামী সোমবার থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। চলবে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ছুটির দিনগুলি বাদ দিলে মোট ১৫ দিন অধিবেশন চলবে। সাধারণত শীতকালীন অধিবেশন ২০ দিন ধরে চলে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। সর্বদল বৈঠকের পর কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ দাবি করেন, কেন্দ্রের এনডিএ সরকার শীতকালীন অধিবেশনের সময় কমিয়ে দেশে সংসদীয় ব্যবস্থাকে খর্ব করতে চাইছে।

সর্বদল বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। গৌরব ছাড়াও কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জয়রাম রমেশ এবং প্রমোদ তিওয়ারি। আরজেডি-র তরফে মনোজ ঝা, তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গৌরব বলেন, “আমরা বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা চেয়েছি। দিল্লির বিস্ফোরণ প্রমাণ করে দিয়েছে যে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ব্যর্থ। দ্বিতীয় বিষয় হল দেশের গণতন্ত্রের সুরক্ষা। ভোটার তালিকার এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। আমাদের তৃতীয় দাবি হল স্বাস্থ্যের নিরাপত্তা। দেশের প্রতিটি প্রান্তে বায়ুদূষণ বাড়ছে।”

শীতকালীন অধিবেশনে ১৪টি বিল পেশ করতে পারে কেন্দ্র। তার মধ্যে উল্লেখ্য হল ‘অ্যাটমিক এনার্জি বিল, ২০২৫’। এই বিলে দেশের পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রও বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পরমাণু শক্তি আইন, ১৯৬২ মেনে এত দিন পরমাণু শক্তি ক্ষেত্র পুরোপুরি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। সবটাই দেখত পরমাণু শক্তি দফতর (ডিএই)।

Parliament Winter Session Winter Session parliament All Party Meet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy