E-Paper

উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণ বিল জেপিসি-তে

বিরোধীরা একজোট হয়ে বিল পেশের বিরোধিতা করায় কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুহস্তক্ষেপ করে জানান, বিলটি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য সেটিকে জেপিসি-তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা দু’কক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি গঠন করবেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৩

—প্রতীকী চিত্র।

বিরোধীদের আপত্তিতে লোকসভায় পেশ হওয়ার পরেই ‘বিকশিত ভারত শিক্ষা অধিস্থান বিল, ২০২৫’-কে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

আজ লোকসভায় ওই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলিতে কার্যকরী সমন্বয় এবং শিক্ষণ, গবেষণার ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নির্ধারণের লক্ষ্যে ওই বিল আনা হয়েছে। ওই বিলে বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বাধীন, স্বশাসিত সংস্থায় পরিণত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, পৃথক সংস্থার পরিবর্তে দেশেরউচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পর্ষদ (আইসিটিই), জাতীয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ পর্ষদ (এনসিটিই)-এর পরিবর্তে একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হবে। যারা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনের দায়িত্বে থাকবে। বিলে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার তিনটিপ্রধান ভূমিকা থাকবে— উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার উপরে নিয়ন্ত্রণ, উচ্চশিক্ষার স্বীকৃতি প্রদান এবং উচ্চশিক্ষার পেশাগত মান নির্ধারণ। গত শুক্রবার ওই বিলটিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

আজ ওই বিল লোকসভায় পেশ করার বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘‘গত কাল অনেক রাতে বিল সাংসদদের পাঠানো হয়েছে। আজ সকালে সংসদীয় কার্যবিধিতে ওই বিলের উল্লেখ ছিল না। পরে সংশোধিত কার্যবিধিতে ওই বিলটিকে যুক্ত করা হয়। ফলে বিলটি নিয়ে পড়াশুনা করার যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়নি। ওই বিলের ফলে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরউপাচার্য নিয়োগ থেকে প্রশাসনিক দিক, সার্বিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকেন্দ্রের হাতে চলে যাবে।’’ আরএসপি সাংসদ এম কে প্রেমচন্দ্রন ওই বিলটির নাম কেন হিন্দিতে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পরিপন্থী। এর ফলে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বশাসন শেষ হয়ে যাবে।’’কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারির কথায়, ‘‘বিলটি উচ্চশিক্ষায়অত্যাধিক কেন্দ্রীকরণের কথা রয়েছে এবং সংবিধানে কেন্দ্র-রাজ্য ক্ষমতা বণ্টনের বিষয়টিও বিলটিলঙ্ঘন করছে।’’

বিরোধীরা একজোট হয়ে বিল পেশের বিরোধিতা করায় কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুহস্তক্ষেপ করে জানান, বিলটি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য সেটিকে জেপিসি-তে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা দু’কক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই কমিটি গঠন করবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Education Bill JPC Central Government

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy