Advertisement
E-Paper

বুদ্ধস্মৃতিবিজড়িত স্থানে বিশেষ নজর, দেশে ৫০টি পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়নে প্রকল্প, ঘোষণা নির্মলার

হোমস্টে তৈরির জন্য ‘মুদ্রা ঋণ’ দেওয়া হবে। কেউ চাইলে সেই ঋণ নিয়ে নিজের বাড়িতেই দেশীয় বা আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করে রোজগার করতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫০
যে সব পর্যটনস্থলের সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের কোনও যোগ রয়েছে, সেগুলিকে সংস্কারের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

যে সব পর্যটনস্থলের সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের কোনও যোগ রয়েছে, সেগুলিকে সংস্কারের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের সেরা ৫০টি পর্যটনস্থলের উন্নয়ন করা হবে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় সেই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যে সব পর্যটনস্থলের সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের কোনও যোগ রয়েছে, সেগুলিকে সংস্কারের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কেন্দ্রের আশা, এর ফলে বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা বৃদ্ধি পাবে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্যই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজস্ব আসবে সরকারের ঘরে।

দেশের পর্যটনস্থলগুলির পরিকাঠামো, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে চাইছে কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যেই নতুন প্রকল্প চালু করতে চলেছে। এই প্রকল্পে ছোট পর্যটন ব্যবসাকেও উৎসাহ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। হোমস্টে তৈরির জন্য ‘মুদ্রা ঋণ’ দেওয়া হবে। কেউ চাইলে সেই ঋণ নিয়ে নিজের বাড়িতেই দেশীয় বা আন্তর্জাতিক অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করে রোজগার করতে পারেন।

দেশে ‘স্বাস্থ্য পর্যটন’-এর উপরেও জোর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্মলা জানিয়েছেন, এই নিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে বেসরকারি ক্ষেত্র। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরেই এ দেশে চিকিৎসার জন্য আসছেন বহু মানুষ। উন্নত পরিষেবা এবং সাধ্যের মধ্যে থাকার খরচের কারণেই বিদেশ থেকে আসা রোগীদের ভিড় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ক্ষেত্রকে আরও উন্নত করতে চাইছে সরকার, যাতে মজবুত হয় দেশের পর্যটন-অর্থনীতি।

দেশের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ উন্নত করতে ‘উড়ান’ (উড়ে দেশ কা আম নাগরিক) প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১২০টি গন্তব্যকে জুড়বে এই প্রকল্প। আগামী ১০ বছরে আরও চার কোটি মানুষ বিমানে চাপার সুযোগ পাবেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের অধীনে হেলিপ্যাড, পার্বত্য অঞ্চলে আরও ছোট বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। বিশেষত দেশের উত্তর-পশ্চিম অংশে। বিহারে তৈরি হবে গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর।

২০১৬ সালে এই ‘উড়ান’ প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুযোগ পেয়েছেন ১.৪ কোটি যাত্রী। এই প্রকল্পের অধীনে ৮৮টি বিমানবন্দরকে জুড়ে ৬১৯টি বিমানপথ চালু করা হয়েছে। ১৩টি নতুন হেলিপোর্ট চালু করা হয়েছে।

Budget 2025
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy