E-Paper

রাজ্যপালেরা জনপ্রতিনিধি নন, বিধানসভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তের উপর খবরদারি শোভা পায় না: সুপ্রিম কোর্ট

পঞ্জাবে ভগবন্ত সিংহ মান সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বানোয়ারীলাল পুরোহিতের সঙ্ঘাত তীব্র। রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করে, বিধানসভায় পাশ হওয়া কয়েকটি বিল সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৭
representational image

—প্রতীকী ছবি।

তাঁরা যে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নন, বিধানসভায় পাশ হওয়া সিদ্ধান্তের উপরে খবরদারি করা যে তাঁদের শোভা পায় না, রাজ্যপালদের সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি রাজ্যপালদের সঙ্গে প্রায় প্রতিটি অবিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারের দ্বন্দ্ব যখন মাত্রাছাড়া, তখন সর্বোচ্চ আদালতে খোদ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সররকারের সঙ্গে সংঘাতের আবহ সৃষ্টি করে বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্তে অনুমোদন না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন রাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার মন্তব্য করেছে, বিষয়টি আদালতে পৌঁছনোর আগেই রাজ্যপালের উচিত রাজ্যের আইনসভায় অনুমোদন হয়ে আসা সিদ্ধান্তগুলি চূড়ান্ত করা।

পঞ্জাবে ভগবন্ত সিংহ মান সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি নেতা বানোয়ারীলাল পুরোহিতের সঙ্ঘাত তীব্র। রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে নালিশ করে, বিধানসভায় পাশ হওয়া বেশ কয়েকটি বিল সিদ্ধান্ত না নিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন। এ দিন মামলাটি ওঠার পরে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, একই অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কেরল ও তামিলনাড়ুর সরকারও। সেখানেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্ঘাত চরমে উঠেছে। সরকারের পাশ করা বিল ঝুলিয়ে রেখেছেন রাজ্যপালেরা। প্রধান বিচারপতি বলেন, “রাজ্যপালদের সামান্য একটু আত্মানুসন্ধান করা জরুরি। তাঁদের মনে রাখতে হবে, রাজ্যপাল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। বিধানসভা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তাকে গুরুত্ব দেওয়াটা জরুরি।”

এ দিন রাজ্যপালের পক্ষে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তাঁকে বলেন, মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত রয়েছে ১০ নভেম্বরে। রাজ্যপাল কী সিদ্ধান্ত নিলেন, সে বিষয়ে একটি সর্বশেষ রিপোর্ট সে দিন তাঁকে পেশ করতে হবে। নির্বাচিত হয়ে আসার পরে ভগবন্ত সিংহ মানের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টির সরকার মোট ২৭টি বিল বিধানসভায় পাশ করিয়েছে। তার মধ্যে ২২টিতে রাজ্যপাল বানোয়ারীলাল ছাড়পত্র দিলেও পাঁচটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Supreme Court of India Justice DY Chandrachud

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy