Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
COVID 19

Pandemic: সরকারি হিসাব থেকে করোনায় মৃত্যু ৭-৮ গুণ বেশি, কেন্দ্রের ওয়েবসাইট থেকে ‘উধাও’ সেই তথ্য!

জুলাই মাসে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়া তথ্য ওয়েবসাইটে ফিরে আসতেই দেখা গিয়েছে, অতিমারির সময়ে গ্রামাঞ্চলে মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির পরিস্থিতি

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির পরিস্থিতি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১ ২২:০০
Share: Save:

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মৃত্যুর তথ্য লুকোনোর অভিযোগ উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সরকারি ওয়েবসাইট ‘হেল্থ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম’ (এইচএমআইএস) থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরে অনেকে সেই মর্মে দাবি করেছিলেন সেই সময়ে। এ বার সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়াস্পেন্ড-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হল, অতিমারি কালে মৃত্যুর হিসেব সংক্রান্ত তথ্য হঠাৎই ওই ওয়েবসাইট থেকে ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল সম্প্রতি। প্রাক-করোনা পর্বের তথ্য থাকলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি গত বছর মার্চ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল-মে পর্যন্ত সময়কালের তথ্য। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, সার্ভারের সমস্যার কারণে ওয়েবসাইট বিকল হয়ে গিয়েছিল। জুলাই মাসে ‘উধাও’ হয়ে যাওয়া তথ্য ওয়েবসাইটে ফিরে আসতেই দেখা গিয়েছে, অতিমারির সময়ে গ্রামাঞ্চলে মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়াস্পেন্ড-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০-র জুন থেকে ২০২১-এর জুন পর্যন্ত ২৭ থেকে ৩৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশে, যা কোভিডের মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে ৭-৮ গুণ বেশি। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। কোভিড পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা, পোলিয়ো টিকাপ্রাপ্তির সংখ্যাও অস্বাভাবিক হারে কমেছে গোটা দেশে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে যক্ষ্মা টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা কমেছে ১৫ লক্ষ। পোলিয়ো টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ কমেছে ওই একই সময়ে। এই তথ্য সরকারি ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেতেই বিতর্ক শুরু হয়। তার পর জুলাই মাসে ওই সময়কালের তথ্য ফের ওয়েবসাইটে ফিরিয়ে আনা হয়।

আমদাবাদ আইআইএম-এর অধ্যাপক চিন্ময় তুম্বে বলেন, ‘‘অদ্ভুত ভাবে পুরনো বছরের তথ্য থাকলেও অতিমারির বছরের তথ্য নেই।’’ জনস্বাস্থ্য অভিযানের কর্মী সুলক্ষণা নন্দী বলেন, ‘‘কোভিডের চিকিৎসায় স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যস্ত থাকায় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাকি রোগের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, সেই বিষয়টি চিহ্নিত করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যভাণ্ডার আমাদের কাছে নেই। আমাদের টাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চলে, সুতরাং, আমাদের এই বিষয়টি জানার অধিকার রয়েছে। এই ভাবে তথ্য লুকোনো সম্পূর্ণ অনৈতিক।’’

সরকারি তথ্য উধাও হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ডিকে ওঝা বলেন, ‘‘সার্ভার বার বার খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কিন্তু তা কত দিনে সম্ভব হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID 19 COVID Deaths
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE