মনমোহন সিংহের পরামর্শে জিএসটি নিয়ে সংঘাত এ়ড়াল কংগ্রেস। কিন্তু ‘পুরনো গ্লানি’ মুছে জিএসটি বিলে সংশোধনে অনড় রইল তৃণমূল। আজ রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল জিএসটি সংক্রান্ত চারটি বিল। রাজ্যসভাতে জিএসটি বিলেও সংশোধনী এনেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস ও তৃণমূল, দুই দলই দাবি তোলে, পাঁচ বছর অন্তর করের হার ঠিক করার একচ্ছত্র অধিকার জিএসটি কাউন্সিলকে দেওয়া চলবে না। কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে সংসদের সম্মতি নিতে হবে। এই দাবিতে একই সংশোধনী দিয়েছিলেন কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। অন্য দলগুলিও এই বিষয়ে একমত ছিল। সব দল একজোট হলে রাজ্যসভায় সংশোধনী পাশও হয়ে যেত। কিন্তু কংগ্রেস মনমোহনের কথায় সংশোধনী থেকে পিছিয়ে যায়।
কিন্তু অনড় থাকেন ডেরেকরা। বাজেটের অর্থ বিলে যখন সব দল আপত্তি তুলে সংশোধনী এনে মোদী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলেছিল, তখন ‘ওয়াক আউট’ করে তাতে সামিল হয়নি তৃণমূল। সরকারকে সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। আজ সেই গ্লানি মুছে সংশোধনীতে অনড় থাকে তৃণমূল। কিন্তু বাকিরা কেউ সমর্থন না করায় ভোটাভুটিতে সংশোধনী খারিজ হয়ে যায়। বামেরা তৃণমূলের সংশোধনীতে ভোট দেননি।
রাজ্যসভায় জিএসটি বিলগুলি পাশ হলেও, নতুন কর ব্যবস্থা চালুর পথে খানাখন্দ আসবে বলে আজ মন্তব্য করেছেন মনমোহন সিংহ। তবে তাঁর মতে, সমস্যা হলেও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোতে হবে। চাই কেন্দ্র-রাজ্যের সহযোগিতাও। মনমোহন কংগ্রেসের নেতাদের বোঝান, কেন্দ্র ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত জিএসটি পরিষদ এই বিলের খসড়াগুলি পাশ করেছে। পরিষদে সর্বসম্মতি ক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই ঐকমত্যকে কংগ্রেসের সম্মান জানানো উচিত। মনমোহনকে সমর্থন জানান পি চিদম্বরমও। তাঁর মতে, কংগ্রেসই জিএসটি বিলের কাজ শুরু করেছে। সেই বিলে কংগ্রেসের সংশোধন করা উচিত নয়। আজ রাজ্যসভায় জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেনকোট পরে স্নান করার মতো কটাক্ষ করেছেন। তা সত্ত্বেও মনমোহন সিংহ সরকারকে অস্বস্তিতে না ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাই পার্থক্য। এক জন শুধুই রাজনীতিক, অন্য জন রাষ্ট্রনেতা।’’
মনমোহনের যুক্তি দিয়েই আজ তৃণমূলকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছেন অরুণ জেটলি। ডেরেককে তিনি বলেন, জিএসটি পরিষদ এই বিলগুলিতেই প্রথম সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম বারেই যদি সেই বিলে সংসদ বা বিধানসভাগুলি সংশোধন করতে শুরু করে, তা হলে খারাপ নজির তৈরি হবে। ডেরেক বলেন, ‘‘অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার দোষ রয়েছে বিলে। কংগ্রেস লোকসভাতে এই আপত্তিতেই সংশোধন এনেছিল। এক সপ্তাহ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy