গুজরাত ভোটে নরেন্দ্র মোদীর গায়ে দুর্নীতির তকমা সেঁটে দিতে রাহুল গাঁধী বড় হাতিয়ার করছেন অমিত শাহের পুত্র জয়ের সম্পত্তির বহর বৃদ্ধিকে। গোটা নির্বাচন পর্বে এত দিন জয় শাহকে কোথাও দেখা যায়নি। আজ তাঁকে দেখা গেল বাবা অমিত শাহের সঙ্গেই।
আজ সকালে গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরে যান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেই সোমনাথ মন্দির, যেখানে ক’দিন আগেই রাহুল গাঁধীর সফর থেকে ‘ধর্ম’ বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। মন্দির পরিসরে অমিত শাহের সঙ্গে ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন জয়। কিন্তু বাবার সঙ্গে মন্দিরের ভিতরে যাননি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথাও বলেননি। বরং ক্যামেরা এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন।
৫০ হাজার টাকা থেকে অল্প সময়ে ৮০ কোটি টাকা ‘টার্নওভার’ কী করে ফেললেন জয় শাহ, তা নিয়ে গুজরাত ভোটের প্রচারে লাগাতার হামলা করেছেন রাহুল গাঁধী। প্রতিটি সভায় প্রায় নিয়ম করে জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘‘আপনারাও তো অনেকে ব্যবসা করেন। ৫০ হাজার টাকাকে ৮০ কোটি টাকা করতে পারবেন?’’ জনতার থেকে ক্রমাগত জবাব আসছে, ‘‘না।’’
এরপরেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাহুল বলছেন, ‘‘কোথায় গেল না খাব, না খেতে দেব-র স্লোগান? শাহ-জাদা (বেশি) খেয়ে গেল, চৌকিদার চুপ কেন?’’ কংগ্রেসের অন্য নেতারাও সমস্বরে বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী-অমিত শাহের কাছে অচ্ছে দিন আনার এত একটি সফল মন্ত্র আছে, অথচ দেশবাসীকে সে কথা বলছেনই না। সে মন্ত্র পেলে সব দেশবাসীই নিজের ব্যবসা, সম্পত্তি রাতারাতি বাড়িয়ে নিতে পারবেন।’’
কংগ্রেসের প্রথম অভিযোগের পর জয় শাহ এক বার মাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য অমিত শাহ নিজে একাধিক বার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, জয়ের ব্যবসার ‘টার্নওভার’ বেড়েছে মাত্র। মুনাফা নয়। লোকসান হয়েছে বলে সংস্থাটিও বন্ধ করতে হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস পাল্টা খোঁচা দিয়ে বলেছে, সেই টার্নওভার বাড়ানোর রসায়নটিও তো মোদী-শাহ দেশবাসীকে জানাতে পারেন!
কিন্তু যাঁকে নিয়ে গুজরাতের ভোট-বাজার এত তোলপাড়, তিনি একেবারে চুপ। তাঁকে দেখাও যায়নি। ক্যামেরার সামনে এসে কোনও বক্তব্যও রাখেননি। প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত টুঁ শব্দ করেননি। উল্টে সভায় সভায় দাবি করছেন, দুর্নীতি বন্ধ করেছে তাঁর সরকার। তাতেই এত ক্ষোভ বিরোধীদের। অমিত শাহের সেই পুত্রকে আজ দেখা গেল। কিন্তু আজও সেই নীরবই থেকে গেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy