সংসদের সেন্ট্রাল হল থেকে বেরোতেই রাহুল গাঁধীকে প্রশ্ন করা হলো, কী হবে গুজরাতে? আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জবাব দিলেন, ‘‘আমরা ভাল করব।’’
নরেন্দ্র মোদীর গড়ে থাবা বসাতে আগামিকাল থেকে তিন দিনের সফর শুরু করছেন রাহুল। যাবেন দক্ষিণ গুজরাতে। ফের মন্দির দর্শনও করবেন। গুজরাতের এ বারের ভোটে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে তিনি যে প্রস্তুত— হাবেভাবে তা বুঝিয়ে দিলেন রাহুল। আর কংগ্রেস সহ-সভাপতির ঘনিষ্ঠ শিবির জানাচ্ছে, এ বার তাঁর এই আত্মবিশ্বাসের পুঁজি গুজরাতের তিন যুব নেতা— হার্দিক পটেল, অল্পেশ ঠাকোর ও জিগনেশ মেবানি। যেখানে এই নেতাদের প্রভাব বেশি, সেখানে তাঁদের জন্য আসনও ছেড়ে রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অল্পেশ ইতিমধ্যেই রাহুলের সভায় পৌঁছে আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জিগনেশ আজ ভোররাতে দিল্লি এসে কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাহুলের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা থাকলেও সকালে তা হয়নি। পরে জিগনেশ বলেন, ‘‘যখন বৈঠক হবে, সকলকে জানিয়েই হবে।’’ আর এক নেতা হার্দিক পটেলের কাঁটা অবশ্য এখনও আটকে রয়েছে। কারণ, হার্দিক সংরক্ষণের যে দাবি তুলে বসে রয়েছেন, সেটি কংগ্রেসের পক্ষে মেনে নেওয়া সহজ নয়। খোদ অল্পেশই সংরক্ষণের এই দাবির বিরোধিতা করছেন। হার্দিকের সঙ্গে গুজরাতের কংগ্রেস নেতাদের লাগাতার বৈঠক হচ্ছে। কংগ্রেসকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময়সীমাও দিয়েছেন হার্দিক। এ নিয়ে ফয়সালা হয়ে গেলে রাহুলের এই সফরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন হার্দিক।
আরও পড়ুন:পটেল-তাস কাড়লেন রাহুল
কংগ্রেসের এক নেতার মতে, শেষ পর্যন্ত পাতিদার সংরক্ষণ নিয়ে রফা না হলেও হার্দিক বাইরে থেকে কংগ্রেসের সুবিধা করতে পারেন। কারণ, বিজেপিকে হারাতে চাইছেন এই তিন যুব নেতা। বিজেপির পাতিদার ভোট কাটলে কংগ্রেসের সুবিধা। কিন্তু এই হার্দিক-জটকেই বিজেপি এখন উস্কে দিতে চাইছে। বিজেপির মতে, আগেও অনেকে মোদীর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ রাজনীতি করেছেন। কিন্তু কেউ টিঁকতে পারেননি। কংগ্রেস আসলে সংরক্ষণ নিয়ে হার্দিককে ‘বোকা’ বানাচ্ছে।
বিজেপির এক নেতার কথায়, রাহুল গাঁধী জানেন এই যুব নেতাদের নিয়েও তিনি গুজরাতে জিততে পারবেন না। সে কারণেই গুজরাতে ‘ভাল’ ফল করাব দাবি করলেও, বলতে পারছেন না ‘জিতবই’। অন্য দিকে বিজেপি দেড়শোর বেশি আসন জেতার কথা বলছে। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যের ১৮২ টি আসনের মধ্যে ১১৬ টি পেয়েছিল। কংগ্রেস জিতেছিল ৬০ টিতে। এ বার কংগ্রেস ভাবছে, বিজেপিকে ১১৬-র নীচে নামিয়ে আনলেই মোদীকে দমানো যাবে। কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, গত বার তারা আসন পেয়েছিল মূলত গ্রামীণ এলাকায়। তবে এ বারে নোট বাতিল আর জিএসটি নিয়ে যে ক্ষোভ শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে— তাতে ফায়দা পাবে কংগ্রেস। সে কারণেই রাহুল গাঁধী জিএসটি, নোট বাতিলের কুফলের কথা বারবার প্রচারে নিয়ে আসছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy